মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ অমান্য করে শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার বেশ কিছু স্কুল পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ের আগে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, অনেক স্কুলের পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ হয়নি। পড়াশোনার সময়ও পায়নি পড়ুয়ারা। আগাম পরীক্ষা শুরু করে দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শিক্ষা জেলার স্কুল পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পর্ষদের নির্দেশ অমান্য অপরাধ। বিষয়টি নজরে এসেছে। অভিযোগ পেলে কারণ জানতে চাওয়া হবে।’’ পর্ষদ সূত্রের খবর, অনেক স্কুলে দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা আগাম শেষ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদ সঠিক নির্দেশ পালনে জোর দিয়েছে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির তৃতীয় সিমেস্টার ১-১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। অনেক স্কুল নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে সেই পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে বলে অভিযোগ। পরীক্ষার মাঝের দিনগুলিতে ছুটি থাকছে স্কুল। তাতে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। শিক্ষকেরা তাদের ছুটির বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতেই ওই স্কুলগুলিতে এমন ভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে কি না, প্রশ্ন তুলছেন অনেক অভিভাবক।
শিলিগুড়ি শহরের মার্গারেট স্কুলে গত ১৮ নভেম্বর থেকে নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া এবং ফাঁসিদেওয়ার ব্লকের কিছু স্কুলেও সমসাময়িক সময়ে পঞ্চম থেকে নবমের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে।
তবে আগাম পরীক্ষা নিতে চলা স্কুলগুলির শিক্ষকদের একাংশের দাবি, ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার কাজে শিক্ষকদের একাংশকে নেওয়া হয়েছে। কম শিক্ষক দিয়ে এতগুলি ক্লাসের পরীক্ষা চালাতে বেশি সময় নিতে হচ্ছে। অনেকে আবার সিলেবাস শেষের দাবি করছেন। কারও দাবি, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় স্কুল পরিচালানোয় সমস্যায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষকেরা। তাই বলে শুধু স্কুলে ভর্তি, হাতেগোনা কয়েকদিন ক্লাস, তার পরে ছুটি এবং পরীক্ষা নিয়েই বছর কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে? প্রশ্ন তুলছেন অনেক অভিভাবক।