বাবুল হক, মালদহ: ফের মালদহে শুটআউট! বাড়ি ফেরার সময় এক পাঁপড় বিক্রেতাকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লতিফপুর লাগোয়া নিচেরকান্দি এলাকায়। মৃতার নাম আজহার আলি। কী কারণে এই খুন? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ ওই ব্যবসায়ী একটি জলসার অনুষ্ঠান থেকে পাঁপড় বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন। যদুপুরের দিক থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সাইকেল চালাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, রাস্তার ধারেই কয়েকজন দুষ্কৃতী ছিল। তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে গুলি করে বলে অভিযোগ। তাঁর মাথায় গুলি লাগে বলে খবর। রাস্তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন আজহার আলি। দুষ্কৃতীরা ওই ব্যক্তির সঙ্গে টাকাপয়সা ও সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়!
স্থানীয়রা ছুটে এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কালিয়াচক থানার পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই খুন? প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাতে ফেরার সময় ওই ব্যবসায়ীর পথ আটকেছিল ওই দুষ্কৃতীরা। তাঁর টাকাপয়সা ছিনতাই করা হয়। ওই ব্যবসায়ী রাস্তা থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। সেসময় বছর ৫৫-এর আজহারকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা!
ঘটনায় স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। জাতীয় সড়কে রাতের টহলদারি পুলিশ থাকলেও রোজ রাতে কেনই বা যদুপুর ও জালালপুরের মধ্যবর্তী এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে? প্রশ্ন স্থানীয়দের। অভিযোগ, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের নিচেরকান্দি এলাকায় রোজ সন্ধ্যার পর থেকেই ছিনতাইয়ের উদ্দেশে জড়ো হয় দুষ্কৃতীরা। পথচারী, বাইক আরোহী কিংবা চারচাকার গাড়ি আটকে ওই দুষ্কৃতীরা ছিনতাই করে। স্থানীয়রা কালিয়াচক থানায় একাধিকবার এই বিষয়ে জানালেও কোনওরকম পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।