• ভোটার তথ্য সংশোধনে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক! SIR-এর মাঝেই জানাচ্ছে কমিশন
    প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এসআইআরের মূল প্রক্রিয়া ভোটার তালিকায় রিভিশন বা সংশোধনের পর্ব। সেই পর্বে ভোটারের কোনও তথ্য সংশোধন করতে হলে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে মঙ্গলবার এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় বিভিন্ন এলাকার বিএলওদের মধ্যে। একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফ থেকেও বিষয়টি জানতে ফোন আসে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। দ্রুত বিভ্রান্তি কাটিয়ে কমিশন জানিয়ে দেয়, জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম জমা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেটাই চূড়ান্ত। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসআইআর করার ক্ষেত্রে আধার কার্ডকে গ্রহণযোগ্য নথির তালিকায় যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে অনলাইনে আধার কার্ডের মাধ্যমে ই-স্বাক্ষর করে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করা যাচ্ছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম বিলি, জমা ও কমিশনের পোর্টালে আপলোড করার কাজ চলবে। ৯ ডিসেম্বরের পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে শুরু হবে সেই তালিকার সংশোধন বা রিভিশন পর্ব। এই পর্বে মৃত, অযোগ্য, মাইগ্রেটেড এবং অন্য রাজ্যের ভোটার হয়ে যাওয়া বা একাধিক জায়গায় থাকা (মাল্টিপল এন্ট্রি) ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে নামের বানান বা অন্য কোনও তথ্য সংশোধন করার থাকলে ৮ নম্বর ফর্ম পূরণ করে তা করতে পারবেন ভোটাররা। পাশাপাশি চলবে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে নতুন ভোটারের নাম তালিকায় তোলার কাজও। যা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই কাজগুলির ক্ষেত্রে আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসআইআর পর্বে আধার কার্ডকে দ্বাদশ নথি হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। তবে আধার কার্ড এক্ষেত্রে শুধুমাত্রই কোনও ভোটারের ‘পরিচয়জ্ঞাপক নথি’ হিসাবেই গণ্য করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বা নাগরিকত্বের পরিচয়জ্ঞাপক নথি হিসাবে নয়। কমিশনের এক কর্তার কথায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১২ নম্বর নথি হিসাবে গণ্য হওয়ায় এখন অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে ই-স্বাক্ষর করতে হচ্ছে। পরবর্তী পর্বে খসড়া ভোটার তালিকার রিভিশন বা সংশোধন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরির সময়ও কোনও তথ্য সংশোধন বা ভোটারের নাম বাদ দেওয়া বা নতুন ভোটারের নাম তোলার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের নম্বর দিয়েই ই-স্বাক্ষর করেই কমিশনের পোর্টালে ঢুকতে হবে। তবে ফর্ম আপলোড করার সময় আধার কার্ডের সঙ্গে পাসপোর্ট বা কমিশনের তালিকাভুক্ত অপর কোনও নথি জমা দিতে হবে।

    এদিন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত জমা পড়া ফর্মের মধ্যে পাঁচ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫১,৬২৬টি ফর্ম ডিজিটাইজড করে পোর্টালে আপলোড করা হয়ে গিয়েছে। শতকের হিসাবে যা মোট বিলি হওয়া ফর্মের সংখ্যার ৭০. ১৪ শতাংশ। এদিন ফর্ম পূরণের সময়সীমা নিয়ে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যে যে ছোট বুথগুলি আছে, যেখানে ভোটার সংখ্যা তুলনামূলক কম, ৫০০ থেকে ৬০০-র মধ্যে, সেখানকার বিএলওদের অনুরোধ করা হয়েছিল ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করতে। সেক্ষেত্রে ফর্ম আপলোড করার ক্ষেত্রে সার্ভারের উপর চাপ কমবে। এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের ভিতর থেকে অবস্থান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএলও অধিকার রক্ষা মঞ্চ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)