শীত পড়তেই কুয়াশার প্রকোপ বাড়ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। দুর্ঘটনা রুখতে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর ও আশপাশের অংশে যে সব দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গা বা ‘ব্ল্যাক স্পট’ রয়েছে, সেখানে বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে ট্র্যাফিক পুলিশ। মঙ্গলবার ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা সে সমস্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করেন। দুর্ঘটনা রোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কী ব্যবস্থা এখনও নিতে হবে, তা খতিয়ে দেখেন।
দুর্গাপুর শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কে ওল্ড কোর্ট মোড়, ভিড়িঙ্গি চাষিপাড়া, পিয়ালা কালীবাড়ি, ইন্দো-আমেরিকান মোড়-সহ কয়েকটি জায়গায় ‘ব্ল্যাক স্পট’ রয়েছে। ইন্দো-আমেরিকান মোড়ে স্থানীয় শিল্পতালুকের ভারী যানবাহনের ভিড় লেগে থাকে। ওল্ড কোর্ট মোড়ে রাস্তা পারাপারের সময়ে বার বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। একই পরিস্থিতি পিয়ালা কালীবাড়ির সামনের অংশেও। বেশ কয়েকটি জায়গার পাশেই জনবসতি রয়েছে। ফলে, দিন দিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই বিপজ্জনক এলাকাগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ডিসি (ট্র্যাফিক) পিভিজি সতীশ পশুমার্থি, এসিপি (ট্র্যাফিক) রাজকুমার মালাকার-সহ মুচিপাড়া ও দুর্গাপুর ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা। ডিসি জানান, দুর্ঘটনা রুখতে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন, ‘ডিসপ্লে বোর্ড’, রাতে গাড়ি চালকদের দাঁড় করিয়ে চা খাওয়ানো, নেশাগ্রস্ত চালক ধরতে বিশেষ অভিযান-সহ নানা উদ্যোগ হচ্ছে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা রোধে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে কিছু পরিকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কাজ করার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেগুলি করা হয়েছে। এ দিন তা খতিয়ে দেখেন ট্র্যাফিক কর্তারা। একই সঙ্গে, আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় আলোর ব্যবস্থা নেই। দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গায় আলোর ব্যবস্থা করতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিসি (ট্র্যাফিক)। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আমাদের মতো করে কাজ করছি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছেন। ওল্ড কোর্ট মোড়ে অনেকে পারাপার করেন। সেখানে আমরা ডিসপ্লে বোর্ড বসিয়েছি। বাসের ছাদে যাতায়াত বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’