• দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক, ষড়যন্ত্রে কী ভাবে সাহায্য করে সোয়েব?
    এই সময় | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল NIA। ধৃতের নাম সোয়েব। ফরিদাবাদের ধৌজের বাসিন্দা সোয়েব বিস্ফোরণের ঠিক আগে উমরকে (প্রধান অভিযুক্ত) আশ্রয় দিয়েছিল এবং লজিস্টিক সহায়তা দিয়েছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার আরও তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    এই ঘটনায় ধৃত মুজাম্মিলকে সঙ্গে নিয়ে সোয়েবের বাসভবনে যায় NIA টিম। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মুজাম্মিল সোয়েবের বাড়িতে একটি গ্রাইন্ডার এবং একটি বহনযোগ্য চুল্লি মজুত করেছিল। মনে করা হচ্ছে, আইইডি উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হতো ওই সরঞ্জামগুলি। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের একজন ওয়ার্ড বয়।

    দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সোয়েব-সহ মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিরা হলো—

    ১. আমির রশিদ আলি- আত্মঘাতী বোমা হামলায় ব্যবহৃত গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছিল আমির। এই ঘটনায় মূল সহ-ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কাজ করেছিল।

    ২. জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশ - ড্রোন এবং রকেট সম্পর্কে জ্ঞান-সহ প্রযুক্তিগত সাহায্য করেছিল। একজন সহ-ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কাজ করেছিল।

    ৩. ডঃ মুজাম্মিল শাকিল গনাই - এই ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। বিস্ফোরক মজুত থেকে শুরু করে বিস্ফোরণের প্ল্যানিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছে এই মুজাম্মিল।

    ৪. ডঃ আদিল আহমেদ রাঠের - ঘটনায় অভিযুক্তদের লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

    ৫. ডঃ শাহিন সাইদ - এই ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। ‘হোয়াইট কলার’ মডিউল হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী।

    ৬. মুফতি ইরফান আহমেদ ওয়াগায় - অভিযুক্তদের একাধিক নির্দেশ এবং কৌশলগত সহায়তা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।

    উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে হুন্ডাই i20 গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই গাড়ির চালক ছিল উমর। লালকেল্লা অদূরে একটি পার্কিংয়ে দুপুরে প্রবেশ করে গাড়িটি। প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। সন্ধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার পথে লালকেল্লা মেট্রোর ১ নম্বর গেটের কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার তদন্ত করছে NIA। সোয়েবকে আদালতে হাজির করিয়ে এনআইএ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন জানাবে বলে জানা যাচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)