• বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তাই যোগ দেননি এসআইআর বৈঠকে! বরখাস্ত হয়ে চরম সিদ্ধান্ত সরকারি আধিকারিকের
    প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর আবহে ফের আত্মহত্যা। এবার বিয়ের ঠিক আগে আত্মহত্যা এক বহিষ্কৃত সরকারি আধিকারিকের। যোগীরাজ্যের ফতেপুরে এসআইআর সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় বহিস্কার বলে জানা গিয়েছে।

    ২৫ বছরের সুধির কুমারকে মঙ্গলবার নিজের ঘরেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন কুমারের বোন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, বিয়ের প্রস্তুতির কারণে রবিবার এসআইআর সংক্রান্ত একটি বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি ওই সরকারি করণিক। কুমারের বোন জানিয়েছেন, এরপর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তাঁর ভাই।

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কুমারের বাড়িতে এসে এক সরকারি আধিকারিক জানান যে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘আমার ভাই এই হয়রানি সহ্য করতে পারছিল না।’ ৪ ডিসেম্বরের সময়সীমার আগে, বহু রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজে নিয়োজিত আধিকারিকদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের পরিবার অভিযোগ অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তাঁরা।

    কিছুদিন আগেই, পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয় এক বিএলও-র। নিজের বাড়ি থেকেই বছর চুয়ান্নর রিঙ্কু তরফদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি চাপা বাঙালঝি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পার্শ্বশিক্ষিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। দীর্ঘ ওই নোটে রিঙ্কুদেবী লিখেছেন, “আমি বাঁচতে চাই। আমার সংসারে কোনও অভাব নেই। কিন্তু এই সামান্য চাকরির জন্য এরা আমাকে এভাবে ভরাডুবির মাধ্যমে মরতে বাধ্য করল।” সেইসঙ্গে নোটে তিনি পরিবারের সদস্যদের এসআইআরের কাজ কীভাবে হবে, তাও জানিয়ে গিয়েছেন। সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে কাজের চাপের কথা লিখেছেন কর্তব্যরত ওই বিএলও।

    এরপরেই কমিশনকে তোপ দাগেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তাঁর প্রশ্ন, ‘এসআইআরের চাপে এভাবে আর কত জীবন নষ্ট হবে? আর কত মৃতদেহ গুনতে হবে? এটা এবার অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হয়ে উঠছে।’

    শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের রাইসেন এবং দামোতে ‘অসুস্থতার’ কারণে এসআইআর-এর কাজে নিযুক্ত দুই বিএলও-র মৃত্যু হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)