সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ডামাডোলের মাঝেই এবার বড় খবর। সূত্রের খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Karnataka CM) পদে রদবদলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সম্প্রতি উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার শিবকুমারকে এই ইস্যুতে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এদিকে এক কংগ্রেস বিধায়ক দাবি করেছেন, শিবকুমারই যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সে বিষয়ে তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত।
দলীয় সূত্রে খবর, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দলীয় বিষয়ে কথা বলার জন্য বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন শিবকুমার। যদিও কোনওভাবে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে খোদ রাহুল গান্ধীর তরফে শিবকুমারের ফোনে আসে ছোট্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। যেখানে লেখা, ‘অপেক্ষা করুন, আমি আপনাকে শীঘ্রই ফোন করছি।’ কর্নাটকের রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে শিবকুমারকে লেখা রাহুলের এই বার্তা নিশ্চিতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা অধিবেশন। তার আগেই কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে চলতে থাকা টানাপোড়েন শেষ করতে চান দিল্লির নেতৃত্ব। তাঁরই আভাস দেওয়া হয়েছে শিবকুমারকে।
দু’বছর আগে বিপুল জনাদেশ নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয় দুই শিবির। একদিকে প্রবীণ নেতা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। কিন্তু সকলেই একবাক্যে মেনে নেন, কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। শোনা যায়, সেই সময় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত ছিল আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার। সেই আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে বর্তমান কর্নাটক সরকারের। এদিকে সিদ্দারামাইয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি সরতে রাজি নন। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। এরইমাঝে রাহুলের বার্তা দীর্ঘ লড়াইয়ে দাড়ি টানার ইঙ্গিত।
এহেন পরিস্থিতির মাঝেই কর্নাটকের রামনগরের বিধায়ক ইকবাল হুসেন জানিয়েছেন, শিবকুমারের যে পদন্নতি হতে চলেছে সে বিষয়ে তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত। তাঁর দাবি অনুযায়ী, কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর ৫-৬ জন দলীয় নেতার মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের গোপন চুক্তি হয়েছিল। হাইকমান্ডের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন শিবকুমার।