সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে পরপর ধাক্কা, ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজে সবুজ সংকেত কেন্দ্রের!
প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টে ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের। শীর্ষ আদালতেও ‘থাপ্পর’। অবশেষে ফাইলে সইয়ের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! তিন বছরের বঞ্চনা পর, ভোটের আগে বাংলায় শুরু হতে চলেছে মনরেগা বা একশো দিনের কাজ! এক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর জবাব, “খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।”
২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। অভিযোগ, অনেক দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র টাকা বন্ধ করতে পারে না বলে, বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। সুরাহা হয়নি। তারপর মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। রায়ে উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানায়, টাকা আটকে রাখতে পারে না কেন্দ্র। ১ আগস্ট থেকে কাজ শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু গরবীদের স্বার্থে চালু করা এই প্রকল্পের টাকা আটকাতে যেন মরিয়া ছিল কেন্দ্র! হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে মোদি সরকার।
সেখানে সলিসিটর জেনারলের যুক্তি ১ মিনিটও টেকেনি। ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের কড়া মন্তব্য ছিল, ‘মামলা প্রত্যাহার করবেন নাকি, খারিজ করে দেব।’ কোনও কথা শুনতে রাজি হননি তাঁরা। নির্দেশ ছিল, বাংলার জন্য টাকা বরাদ্দ করতে হবে। তারপর ফের হাই কোর্ট জানায় কাজ শুরু করতেই হবে। তবে, যে সমস্ত জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে , সেই এলাকাগুলিতে তদন্ত যেমন চলছে, তেমনই চলবে। রাজ্যকে রিপোর্টও দিতে হবে। সূত্রের খবর, আদালতের পরপর ধাক্কা খাওয়ার পর কেন্দ্রীয় প্রশাসনের শীর্ষস্তরে আলোচনার পর বাংলায় প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তবে কবে থেকে তা জানা যায়নি।
একশো দিনের কাজ বন্ধ রাখার পর রাজনৈতিক আন্দোলনও করে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে অভিযান করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এমপি ও নেতা। সেখানে তাঁদের উপর দিল্লি পুলিশের অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। তারপর রাজ্য সরকার নিজেদের তহবিল থেকে একশো দিনের টাকা মেটায়। অবশেষে ভোটের আগে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর রাজ্যে চালু হতে চলেছে একশো দিনের কাজ।