• রাজনৈতিক দলগুলির লুকনো অনুদান বন্ধের দাবি, কেন্দ্র ও কমিশনের মত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত
    প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলির চাঁদা নিয়ে এত গোপনীয়তা কীসের? আয়করেই বা ছাড় কেন? পুরনো নিয়মে বদল চেয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত সেই মামলা গ্রহণ করল এবং নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে নির্বাচনী বন্ড। কিন্তু এখনও গোপনে চাঁদা পাওয়া বন্ধ হয়নি রাজনৈতিক দলগুলির। নিয়ম অনুযায়ী, ২০০০ টাকার কম চাঁদা দিলে রাজনৈতিক দলগুলি সেই তথ্য গোপন রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে দাতার নামও প্রকাশ করতে হয় না, আবার ওই দাতাকে আয়করের আওতাতেও আসতে হয় না। সেই নিয়মে বদল চেয়ে এবার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে খেম সিং ভাটি নামের এক ব্যক্তি শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, সবরকম রাজনৈতিক অনুদানকেই আয়করের আওতায় আনতে হবে। আয়কর আইনের ১৩ক (ঘ) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ওই মামলাকারী।

    ওই ধারা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলির প্রাপ্ত অনুদানের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও রকম আয়কর দিতে হবে না। তবে এক্ষেত্রে অনুদানের সর্বোচ্চ সীমা ২ হাজার টাকা। দু’হাজারের কম অনুদানের তথ্য প্রকাশও করতে হয় না। এই পদ্ধতিই বাতিল করতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করেছে। এ নিয়ে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের মতামতও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

    উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই নির্বাচনী বন্ড বাতিল করেছে। সেক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের যুক্তি ছিল, এভাবে গোপনীয়তার আড়ালে দুর্নীতি হয়েছে। গোপন আদানপ্রদান, পাইয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকতে পারে। ঘটনাচক্রে রাজনৈতিক দলগুলির এই ২ হাজারের অনুদানের ক্ষেত্রেও এই যুক্তিগুলি খাটে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)