‘BLO-দের ৪৮ ঘণ্টা বসিয়ে রাখল, আমি তো ১০ মিনিটেই শুনলাম’, ‘অমানবিক’ কমিশনকে তোপ মমতার
প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর (SIR in Bengal) ইস্যুতে বিএলওদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের একবার বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, বিএলওদের দাবি ন্যায্য এবং সংযত। এরপরেও কেন কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে বিএলওদের ৪৮ ঘণ্টা বসে থাকতে হল তা নিয়ে সুর চড়ান প্রশাসনিক প্রধান। পাশাপাশি যেভাবে বাংলা-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে বিএলওরা আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নির্বাচন কমিশনকে ‘অমানবিক’ বলেও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রেড রোডে ডাঃ আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই একেবারে সংবিধান হাতে নিয়ে একাধিক ইস্যুতে একযোগে কমিশন এবং বিজেপিকে তোপ দাগেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে একের পর এক বিএলওর মৃত্যু হয়েছে। বিএলওদের দাবিকে আমি ন্যায্য এবং সংযত বলে মনে করি।” এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কলকাতা নির্বাচন কমিশনের সামনে বিএলওদের ধরনার প্রসঙ্গও তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”দাবি জানাতে বিএলওদের ৪৮ ঘণ্টা বসে থাকতে হল। এতটা অমানবিক।”
শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার ঠাকুরনগর থেকে ফেরার পথে বিক্ষোভ দেখে থমকে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনার কথাও এদিন তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ”আমি কাল গাড়িতে আসার সময় কিছু লোক কথা বলতে চাইছিলেন। আমি তা শুনলাম। সঙ্গে সঙ্গে যা যা প্রয়োজন সব করে দিলাম।” কিন্তু বিএলওদের কথা শুনতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লেগে গেল? তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা জানাবেন না? প্রশ্ন প্রশাসনিক প্রধানের।
শুধু তাই নয়, দ্রুত এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়েও এদিন ফের প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ”তিন বছর সময় নিয়ে নাও। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তিনবছরের কাজটা দু’মাসে করা হচ্ছে।” এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “স্বাধীনতার এত বছর পর নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে। এতে আমরা স্তম্ভিত, দুঃখিত, মর্মাহত এবং শোকাহত।” দেশে গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন বলেও দাবি করেন। অন্যদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ”দেশে নিরপেক্ষতা নেই, একপক্ষ চলছে। বাংলা ভারতের অংশ, তা কেন্দ্র ভুলে গিয়েছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।