ঘাটালে চলছে টোটো ধর্মঘট। নতুন করে বিক্ষোভ ছড়াল গোয়ালতোড়েও।
মঙ্গলবারও ঘাটালে টোটো ধর্মঘট অব্যাহত ছিল। ফি মকুব এবং মূল সড়কে চলতে দেওয়ার দাবিতে সোমবার থেকে দু’দিনের টোটো ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। এ দিন ঘাটাল শহর ও ব্লকের টোটো চালকেরা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। ফলে শহরে যানজট তৈরি হয়। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বিক্ষোভকারী টোটো চালকদের বক্তব্য, ‘‘আমরা কেউ পাঁচ বছর, কেউ সাত বছর, কেউ ১০ বছর টোটো কিনে ব্যবসা করছি। এত পুরনো টোটোর এত টাকা খরচ করে নথিভুক্তি করিয়ে লোকসান হবে। তার পরেও আবার সব রাস্তায় চলতে পারা যাবে না।’’ আগে টোটো নিয়ে এত নিয়মকানুন ছিল না। সচেতনতাও ছিল কম। সেই সময় কোনটা বৈধ কোনটা অবৈধ শোরুম জানা সম্ভব ছিল না। এ বিষয়ে পরিবহণ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দু’দিনের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আজ, বুধবার থেকে ঘাটালে টোটো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পরিবহণ দফতর অবশ্য জানিয়েছে, নথিভুক্তির সময়সীমা শেষ হয়ে আসছে। ৩০ নভেম্বর শেষ দিন। সরকারি নির্দেশিকা মেনে পুরনো ও নতুন সব টোটোর নথিভুক্তি করাতেই হবে।
টোটো বিক্ষোভ ছড়িয়েছে গোয়ালতোড়েও। এ দিন সকালে প্রথমে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে জড়ো হন টোটো চালকরা। সেখানে তাঁরা নিজেদের দাবি তুলে ধরেন। ফ্লেক্স, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। টোটো চালকদের দাবি গুলির মধ্যে অন্যতম, নথিভুক্তির ফি বাতিল করতে হবে, টোটো ও ই-রিকশার নথিভুক্তি দশ বৎসর মেয়াদি করতে হবে, রাজ্য ও জাতীয় সড়কে চলাচলের অনুমতি দিতে হবে প্রভৃতি। কলেজ মোড় থেকে টোটো চালকদের মিছিল গোয়ালতোড় শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে ব্লক অফিসে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভকারী টোটো চালকরা বলেন, ‘‘বিডিওর কাছে আমাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি কয়েকদিনের মধ্যেই দেব। তার আগে এ দিন মিছিল করে আমরা টোটো চালকদের নথিভুক্তির নামে অযথা হয়রানি বন্ধ করার প্রতিবাদ জানালাম।’’
ঘাটাল ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে অরাজনৈতিক ভাবে। গোয়ালতোড়েও এ দিনের বিক্ষোভে ছিল না রাজনৈতিক চরিত্র। কয়েকশো টোটোচালক হঠাৎই বন্ধ করে দেন টোটো এবং ই রিকশা। শামিল হন প্রতিবাদ মিছিলে। গোয়ালতোড় টোটো ইউনিয়নের সভাপতি সুব্রত সাহা বলেন, ‘‘এদিন আমরা একত্রিত হয়ে ধর্মঘট করে প্রতিবাদ মিছিল করেছি, আমাদের ইউনিয়ন অরাজনৈতিক। দাবি মানা না হলে ফের আমরা পথে নামব।’’