জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথা রাখলেন মুখ্য়মন্ত্রী। বারাসতকাণ্ডে মৃতের মা-কে চাকরি দিল রাজ্য সরকার। বাড়িতে গিয়ে নিয়োগপত্র দিয়ে এলেন পুলিস আধিকারিকরা। ৩ সদস্যের কমিটি গড়ে নতুন করে তদন্তও শুরু হল।
এদিন বারাসত কাণ্ডে মৃত প্রীতম ঘোষের দেহের ফের ময়নাতদন্ত করে তিন চিকিত্সক। দলের নেতৃত্বে ছিলেন চিকিত্সক অরিন্দম চক্রবর্তী। তিনি জানান, 'আইন মেনে ভিডিয়োগ্রাফি -সহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করেছি। মুখবন্ধ খামে আমরা রিপোর্ট জমা দেব। পরিবারকেও রিপোর্টের কপি দেওয়া হবে'।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল মঙ্গলবার। বনগাঁর সভা সেরে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাসতে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যশোর রোডে কনভয় আটকে দেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। অভিযোগ, বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতের চোখ চুরি হয়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মাইকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেছিলেন, 'সঠিক তদন্ত হবে। যদি অপরাধ সত্যি প্রমাণিত হয়, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতের পরিবারকে একজনকে চাকরি দেওয়া হবে'। সেই মতোই যেমন তদন্ত শুরু হল, তেমনই চাকরিও পেলেন মৃতের মা।
বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অতিস বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'থানায় একটি আবেদনপত্র ও বায়োডেটা জমা করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। সেইটাই ফরোয়ার্ড করে দেওয়া হয়। তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি'।
বারাসত এক নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা প্রীতম ঘোষ। সোমবার সকালে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রীতম। বারাসাত মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিত্সকরা। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ রাখা ছিল হাসপাতালে মর্গেই। পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পর যখন হাসপাতালে আনা হয়, প্রীতমের দুটি চোখই অক্ষত ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দেহ নিতে গিয়ে তাঁরা দেখেন এক চোখ নেই। হাসপাতালে মর্গ থেকে নাকি চোখ চুরি হয়ে গিয়েছে!
ঘটনাকে কেন্দ করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তখনই তখনই বনগাঁর সভা সেরে সড়ক পথে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাসাত বনমালিপুর হাসপাতাল গেটের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়েছিল কনভয়।