প্রবীর চক্রবর্তী: জেলমুক্তি ঘটলেও বিপদ আর বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত, জামিনে মুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টেপাধ্যায়ের (Partha Chattopadhyay)। আজই আদালত তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, সশরীরে হাজিরা না দিলে তিনি ফের গ্রেফতার হতে পারেন। আর এই আবহেই তিনি আজ বুধবার হাসপাতালে অসুস্থ কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) ফোন করেন কুশল বিনিময়ের জন্য। অস্ত্রোপচারের পরে খোঁজ নিতেই ফোন করেন। সেখানেই ওঠে নানা প্রসঙ্গ। কিছুক্ষন কথা হয় দুজনের। তৃণমূলের প্রাক্তন আর বর্তমান দুই সৈনিকের দীর্ঘদিন পর কী কথা হল তা জানার কৌতূহল ছিল মিডিয়া মহলে। বিস্তারিত জানা না গেলেও, কিছু কথা ফাঁস হয়েছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
পার্থ ফোনে কুণালকে বলেন- 'আমি এতটা খারাপ নই'। সূত্রের খবর, ফোনে তিনি বারবার বলেন, 'বিশ্বাস করো, আমি চুরি করিনি। আমাকে সবাই ভুল বুঝলে।' যদিও ফোনের ব্যাপারে কুণাল ঘোষ বলেন, আমার অসুস্থতার ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করেছিলেন। একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আবেগঘন হয়ে তিনি কিছু কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকে যারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছে তাদের নিম্ন আদালতে প্রত্যেক হিয়ারিঙে (SSC Case) হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। এদিন দেখা যায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী-সহ একাধিক অভিযুক্ত স্বশরীরে হাজিরা দেননি। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল পার্থর। কিন্তু আজ সেখানে সশরীরে হাজিরা দেননি পার্থ।
বিচারক তাদের উদ্দ্যেশ করে বলেন প্রত্যেক অভিযুক্তকে হিয়ারিঙে কোর্টে থাকতে হবে। অন্যথা এই কোর্টের পূর্ণ ক্ষমতা আছে হাজিরা না দিলে জামিন বাতিল করে দেওয়ার (Partha Chatterjee Bail)। 'আশা করি আপনারা পচা শামুকে পা কাটবেন না...' হুঁশিয়ারি বিচারকের।
এতে বিচারক বলেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ যাঁরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে। আশাকরি পচা শামুকে পা কাটবেন না।'
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি ছিল। কিন্তু জামিনে বাইরে থাকলেও, আজ সশরীরে আদালতে হাজিরা হননি পার্থ। চার্জশিটে নাম থাকা সত্ত্বেও আদালত কক্ষে হাজির হননি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাকি অভিযুক্তরাও। তাঁদের অনুপস্থিতিতে রুষ্ট হন বিচার শুভেন্দু সাহা।