• বাংলাদেশের জেলে ‘রহস্যমৃত্যু’ মৎস্যজীবীর, ১০ দিন পর দেহ ফিরল কাকদ্বীপের গ্রামে
    প্রতিদিন | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বাংলাদেশে জেলবন্দি অবস্থায় ‘রহস্যমৃত্যু’ ভারতীয় মৎস্যজীবীর। মৃত্যুর ১০ দিন পর মঙ্গলবার রাতে তাঁর কফিনবন্দি দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার ভোরে দেহ হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার গঙ্গাধরপুরের ৮ নম্বর পশ্চিম কালিনগরের বাড়িতে নিয়ে আসেন মৃতের ভাই বাসুদেব দাস।

    মৃতের নাম বাবুল ওরফে বোবা দাস। গত ১৩ জুলাই ভারত-বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে দু’টি ভারতীয় ট্রলার। ‘এফবি মঙ্গলচন্ডী-৩৮’ ও ‘এফবি ঝড়’ নামে দু’টি ট্রলারকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দু’টি ট্রলারে ছিলেন মোট ৩৪ জন মৎস্যজীবী। বাবুল ছিলেন ‘মঙ্গলচন্ডী’ ট্রলারে। ১৫ জুলাই আটক মৎস্যজীবীদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের মংলা পোর্ট থানা। বাগেরহাট আদালত ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    জেল বন্দি থাকাকালীন গত ১৫ নভেম্বর বন্দি বাবুলের মৃত্যুর খবর পরিবারের কাছে এসে পৌঁছয়। বাংলাদেশ প্রশাসন জানায়, ওই মৎস্যজীবীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে মৃত্যু। তবে বাবলু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এই কথা মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, জেলে থাকা অবস্থায় বোবা ও কানে কম শোনা বাবুলকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে।

    মৃতদেহ ফেরানোর জন্য় কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে বিষয়টি জানান বাবুলের পরিবার। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরেও আনা হয়। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্রও মৃতদেহ দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। ‘মঙ্গলচন্ডী’ ট্রলারের মালিকের পুত্রও বাবলুর দেহ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশে যান। এরপর সকলের প্রচেষ্টা ও তৎপরতায় ১০ দিনের মাথায় মৃত মৎস্যজীবীর দেহ বাড়িতে ফিরল। পেট্রাপোল সীমান্তে ওই মৎস্যজীবীর কফিনবন্দি দেহ হস্তান্তর করা হয়। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)