পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন! গ্রেপ্তার প্রাক্তন সেনাকর্মী
প্রতিদিন | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাসত: পরকীয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই দু’জনকে সন্দেহ করত। এনিয়ে দীর্ঘ বছরের বিবাদের জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন সেনাকর্মী স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে বারাকপুর-মোহনপুর থানার অন্তর্গত গ্রিনপার্ক এলাকার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিহতের নাম গীতা বিশ্বাস। তাঁর বয়স ৫২ বছর। তাঁকে খুনের অভিযোগে স্বামী সমীর কুমার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনা দম্পতির এক ছেলে এবং এক মেয়ে চাকরির সূত্রে ভিন রাজ্যে থাকে।
মোহনপুর পঞ্চায়েতের গ্রিনপার্কের দোতলা বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী গীতা। নিচতলায় ভাড়াটিয়া রয়েছে। এই এলাকার সংলগ্ন তেলিনিপাড়া এলাকায় তাদের আরেকটি বাড়ি রয়েছে। পরকীয়া নিয়ে দম্পতি একে অপরকে সন্দেহ করার কারণে সেই বাড়িতেই বেশি থাকতেন সমীর। গ্রিনপার্কের বাড়িতেও থাকতেন তিনি। এদিনও গ্রীনপার্কের বাড়িতে সমীর এলে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হয়। সেই সময় ঝগড়া, চিৎকার শুনেছিলেন প্রতিবেশীরা। সমস্যা মেটাতে এলাকার কয়েকজন তাদের বাড়িতেও আসেন। কিন্তু গেটে তালাবন্ধ থাকায় ঢুকতে পারেননি।
পরবর্তীকালে গীতার চিৎকারে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা মোহনপুর থানায় খবর দেন। এরপরই পুলিশ এসে ঘরের মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে পরে থাকতে দেখে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত স্বামী সমীরকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এদিন অশান্তি চলাকালীন ঘরের দরজার কাঠের খিল দিয়ে সমীর তাঁর স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করে। এর জেরে মৃত্যু হয় গীতাদেবীর। জানা গিয়েছে, এর আগে সমীরের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করেন স্ত্রী। ঘটনা প্রসঙ্গে মোহনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল কর বলেন, “স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি দীর্ঘ বছরের। অশান্তি মেটাতে বেশ কয়েকবার আমরা চেষ্টা করেছি। দাম্পত্যে অশান্তির জেরেই এদিন স্ত্রীকে খুনের করেন প্রাক্তন সেনাকর্মী স্বামী।”