• দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ‘বিতর্কিত’ বিডিওর আগাম জামিন, স্বস্তিতে আধিকারিক
    প্রতিদিন | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। ওই বিডিওর বিরুদ্ধে খুন ও অপহরণের মামলা রুজু হয়। কয়েকদিন আগে আগাম জামিন চেয়ে বারাসত আদালতে আবেদন জানান প্রশান্ত। তাঁকে আগাম জামিন দিল বারাসত জেলা আদালত। তার ফলে স্বস্তিতে ‘বিতর্কিত’ বিডিও।

    নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলা। তিনি আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্টঅফিস এলাকার দিলামাটিয়ার বাসিন্দা। দত্তাবাদে সোনার গয়নার দোকান রয়েছে তাঁর। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তারপরই নিউটাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড় এলাকার ঝোপ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ছবি দেখে পরিবার দেহ শনাক্ত করে। পরিবারের দাবি, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে।

    এই ঘটনায় নাম জড়ায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। অভিযোগ, অপহরণ এবং খুনে পুরোপুরি যুক্ত বিডিও। পরিবারের দাবি, গত প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে দত্তাবাদে দোকান ভাড়া করে ব্যবসা করেন স্বর্ণব্যবসায়ী। দিনকয়েক আগে নাকি ‘বিতর্কিত’ বিডিওর বাড়ি থেকে বেশ কিছু গয়নাগাটি চুরি যায়। ওই গয়নাগাটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করা হয় বলেই দাবি করেন বিডিও। সে সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতেই নাকি প্রথমবার আসেন বিডিও। তা নিয়ে সংঘাতের মাঝে গত ২৮ অক্টোবর, একটি নীলবাতি গাড়ি নিয়ে ফের দত্তাবাদের গয়নার দোকানের সামনে আসেন বিডিও। ওই গাড়ি থেকেই নাকি নামতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন বলেই দাবি স্বর্ণব্যবসায়ীর পরিবারের। ওই গাড়িতে করে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া পর। পরদিন উদ্ধার হয় দেহ। এই ঘটনার পর থেকে অন্তরালে চলে যান বিডিও। শুক্রবার অন্তরাল থেকে প্রকাশ্যে আসেন। অপহরণ ও খুনের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ নস্য়াৎ করেন। তার পরদিনই গ্রেপ্তার বিডিও ‘ঘনিষ্ঠ’ দু’জন। অভিযুক্ত বিডিওকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব নিহতের পরিজনেরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)