বিজেপি কেন মুসলিম প্রার্থীদের টিকিট দেয় না? কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় জায়গা পান না মুসলিমরা? বিভিন্ন সময়ে এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বুধবার তার জবাব দিতে গিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিলেন কেরালার বিজেপি সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর। তাঁর স্পষ্ট দাবি, মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেন না, তাই মন্ত্রীও করা হয় না।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় কোনও মুসলিম মন্ত্রী নেই। স্বাধীনতার পরে এমন ঘটনা এই প্রথম। শুধু তাই নয়, লোকসভা ভোটেও জিততে পারেননি এনডিএ-র কোনও মুসলিম প্রার্থীই। ফলে মুসলিম সাংসদও নেই। কোঝিকড় প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজীবকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেন না। জেতার সম্ভাবনা থাকলে তবেই কাউকে প্রার্থী করা হয়। ফলে মুসলিম সাংসদও নেই। আর সাংসদ না হলে মন্ত্রী হওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না।’
স্বাধীনতার পর থেকে মুসলিমরা কংগ্রেসকেই ভোট দিয়ে আসছে বলেও দাবি করেন রাজীব। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘মুসলিমরা কংগ্রেসকেই ভোট দেন, বিজেপিকে দেন না। তা হলে আমাদের দল কেন তাঁদের সাংসদ, মন্ত্রী করবে?’ তিনি জানিয়ে দেন, কোঝিকড়ের মুসলিম ভোটাররা বিজেপিকে সমর্থন করলে সাংসদ, মন্ত্রী সব পাবেন।
২০২৬-এ কেরালায় বিধানসভা ভোট। রাজীবের কথায়, ‘এটা আমাদের কাছে সেমিফাইনাল নয়, ফাইনাল। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, প্রশাসনিক কাজের ধরনে আমূল বদল আনাও বিজেপির লক্ষ্য।’ তাঁর অভিযোগ, কেরালার বেশিরভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকাই কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, কিন্তু রাজ্য সরকার তা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে না।’ রাজীব বলেন, ‘কেরালায় এখন ডবল ইঞ্জিন সরকার দরকার।’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতার পরে মুখতার আব্বাস নকভিকে মন্ত্রী করেছিল বিজেপি। তিনিই ছিলেন তৎকালীন বিজেপি সরকারের একমাত্র মন্ত্রী। কিন্তু এ বারে কোনও মুসলিম প্রার্থীকেই মন্ত্রী করেনি বিজেপি। অবশ্য লোকসভা ভোটে বিজেপির কোনও মুসলিম প্রার্থী জিততেও পারেননি।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ ও ১১ ডিসেম্বর উপনির্বাচন রয়েছে কেরালায়। রাজ্যে বিজেপির ভোট ১৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বিজেপির। একই সঙ্গে বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। খুব শীঘ্রই কেরালা সফরে যেতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তবে এখনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।