নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলন্ত ধৌলি এক্সপ্রেস থেকে ছিনতাইবাজরা এক মহিলাকে ফেলে দেওয়ার পরই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কড়া হচ্ছে রেল পুলিশ। বিভিন্ন রেল পুলিশ মোস্ট ওয়ান্টেড ছিনতাইবাজদের সম্পর্কে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে। কোনও অপরাধ ঘটলে বিভিন্ন জিআরপির পক্ষে অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাতে সহজ হয়। একইসঙ্গে জামিন পেয়ে কোন কোন ছিনতাইবাজ বাইরে রয়েছে, তার তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর। তাদের গ্রেফতার করে চলন্ত ট্রেনে এবং প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রুখে দেওয়াই পুলিশের লক্ষ্য।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভোগপুর স্টেশনের কাছে এক মহিলা যাত্রী শৌচাগার থেকে বেরিয়ে সিটের দিকে যাওয়ার সময় ছিনতাইবাজদের কবলে পড়েন। তাঁর গলার চেনে টান দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই মহিলা বাধা দেওয়ায় তাঁকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ছিনতাইকারীরা। ওই যাত্রী ট্রেন থেকে নীচে পড়ে যান। ছিনতাইকারীরা চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ মেরে পালানোর চেষ্টা করে স্থানীয় লোকজন দুজনকে ধরে ফেলে। চলন্ত ট্রেনে এই ঘটনা ঘটায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন রেল পুলিশের আধিকারিকরা।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনেই জিআরপির পর্যাপ্ত ফোর্স থাকে। এর সঙ্গে রয়েছে আরপিএফ। যাতে চলন্ত ট্রেনে অপরাধ আটকানো যায়। পাশাপাশি সন্দেহভাজন ছিনতাইবাজদের গ্রেফতারও করা হয় বিভিন্ন সময়ে। তবে ধৌলির ঘটনার পর সামান্যতম ফাঁকও রাখতে রাজি নন রেল পুলিশের আধিকারিকরা। সেই কারণে পরিকল্পনা করা হয়েছে বিভিন্ন রেল পুলিশ এলাকায় ছিনতাইবাজ বা অন্য দুষ্কৃতী কারা কারা রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করতে। তার মধ্যে মোস্ট ওয়ান্টেড কারা এবং তাদের ‘স্টেটাস’ কী সেটাও খোঁজ নেওয়া হবে। এরপর তাদের নিয়ে একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। যাতে জিআরপিগুলি দেখে নিতে পারে কোন এলাকায় কোন দুষ্কতী ‘রাজ’ করছে। তাদের গ্রেফতার করা হবে। নতুন অপরাধী কারা জন্ম নিয়েছে, খোঁজখবর চলবে সে সম্পর্কেও। লক্ষ্য, অপরাধ শূন্যে নামিয়ে আনা। তাই একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলিতে চেকিংয়ের ব্যাপারে ওসিদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।