নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংবিধানের মাহাত্ম্য বর্ণনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের সাফল্যের উদাহরণই তুলে ধরলেন। বুধবার ছিল সংবিধান দিবস। ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরের বছর ২০১৫ সালে মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হবে ভারতে। তিন বছরের তর্কবিতর্ক, আলোচনার পর ১৯৪৯ সালের এই দিনেই সংবিধান সভায় অনুমোদিত ও গ্রহণ করা হয়েছিল ভারতের সংবিধান। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সাধারণতন্ত্র ভারতের চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণকে বিশেষ গৌরবজনক মুহূর্ত হিসেবে স্থায়িত্ব দিতেই এই সিদ্ধান্ত। সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার মোদি ভারতবাসীকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন বুধবার। সেখানেই তিনি বলেছেন, সংবিধানের শক্তি এটাই যে, আমার মতো এক গরিব সাধারণ পরিবারের মানুষকে সরকারের কর্ণধার হিসেবে একটানা ২৪ বছর ধরে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই দফায় দুই সরকারের প্রধান হয়েছেন তিনি। মোদি আরও বলেছেন, ২০১৪ সালে আমার সেই মুহূর্ত মনে পড়ছে, যেদিন আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গণতন্ত্রের মন্দির সংসদ ভবনে প্রবেশ করি এবং সংসদ ভবনের সিঁড়িতে নতমস্তকে প্রণাম জানাই। আবার ২০১৯ সালে সেন্ট্রাল হলে প্রবেশ করে সংবিধানের সামনে ঝুঁকে সেই মহান পুস্তককে আমার কপালে স্পর্শ করি। সংবিধান আমার মতো আরও অনেক সাধারণ মানুষকেই স্বপ্ন দেখার শক্তি দিয়েছে। সংবিধানের জন্য কাজ করার প্রেরণাও দিয়েছে। মোদি আত্মপ্রচারে কার্পণ্য না করে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সংবিধানের শক্তির মাধ্যমেই তিনি ৩৭০ অনুচ্ছেদের অবলুপ্তি ঘটিয়েছেন। এতদিন মোদি একটি টার্গেট স্থির করেছিলেন— ২০২৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত হবে। অর্থাৎ স্বাধীনতার ১০০ বছর উপলক্ষ্যে শ্রেষ্ঠ ভারত নির্মাণ। এদিন নতুন আরও একটি লক্ষ্য স্থাপন করে বললেন, ২০৪৯ সালে যখন সংবিধান গ্রহণ করার ১০০ বছর হবে সেদিন সকলে বুঝবে যে, আজ আমরা যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি, যে নীতি প্রণয়ন করছি সেগুলি ভাবী প্রজন্মকে কতটা অনুপ্রাণিত করবে। মোদি নাগরিকদের বলেছেন, সংবিধানের ৫১ তম ধারা যে মৌলিক কর্তব্যগুলির নির্দেশিকা দিয়েছে, সেগুলি নাগরিকদের পালন করতে হবে। মোদির বক্তব্য, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ সর্বদা বহন করে নিয়ে চলতে হবে নাগরিক ও সরকার উভয়পক্ষকেই।