প্রয়োজনে পিছিয়ে দেব খসড়া প্রকাশ, বাংলা নিয়ে হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের
বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) পরবর্তী খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে ৯ ডিসেম্বর। অথচ ওইদিনই তৃণমূল ও কংগ্রেসের পক্ষে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট। এবং দেশের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, ‘প্রয়োজনে খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন পিছিয়ে দেব আমরা।’
আবেদনকারীদের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল, ৯ ডিসেম্বর যেহেতু খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে, এই মামলা আগে শোনা হোক। তখনই সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, ‘তাতে কী আছে? যদি সত্যিই আপনাদের আবেদনের যুক্তি থাকে, আমরা তালিকা প্রকাশের সময়সীমা পিছিয়ে দেব। কমিশন কোনও তারিখ স্থির করতেই পারে। তার মানে কি আদালত কিছু করতে পারে না? কোর্ট মনে করলে সময়সীমা পিছিয়ে দেবে।’ এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গের এসআইআর মামলায় এদিন রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জবাবও চেয়ে পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর ‘ত্রুটিমুক্ত’ নয় বলেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূলের দোলা সেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। অন্যদিকে, কেরল সরকার ও তামিলনাড়ু-পুদুচেরির কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাও মামলা করেছেন। বিহার নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের আবেদনও রয়েছে। প্রত্যেকের কমবেশি অভিযোগ, এসআইআরের নামে যোগ্য ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। ভোটার তালিকা শুদ্ধকরণের নামে কমিশনের আসল উদ্দেশ্য সেটাই।
আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিবাল, প্রশান্ত ভূষণরা বলেন, বিএলও’রা কাজের চাপ সহ্য করতে না পারে আত্মহত্যা করছেন। তাছাড়া নাগরিকত্ব মোটেই নির্বাচন কমিশন ঠিক করতে পারে না। সওয়াল শুনে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী শুনানির পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অধিকার আছে কে প্রকৃত ভোটার তা যাচাই করে দেখার। নতুন কেউ ভোটার হতে (ফর্ম-৬) চেয়ে আবেদন করলে তা যে গ্রহণ করতেই হবে, এমন তো হতে পারে না।’ প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘বিহার এসআইআরে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু তেমন আপত্তি তো ওঠেনি। ভোটও হয়ে গেল। নথিপত্র ঠিকঠাক আছে কি না, কমিশনের তা যাচাই করার সাংবিধানিক এক্তিয়ার রয়েছে।’