• ড্রোনে নজরদারিতে দারুণ সাফল্য, হয়নি চোরাশিকার-কাঠপাচার, খুশি বনদপ্তর
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণী ও জঙ্গল সুরক্ষার কাজে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে দারুণ সাফল্য পেল বনদপ্তর। এক বছর আগে চারটি ড্রোন ব্যবহার করা হয় জাতীয় উদ্যানের এই নজরদারিতে। ড্রোন ক্যামেরার এক বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায় ওই সময়ের মধ্যে জাতীয় উদ্যানে কোনও বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনা ঘটেনি। কোনও চোরাশিকারের ঘটনাও ঘটেনি। দেখা যায়নি জঙ্গলে কাঠ মাফিয়াদের কোনও গাছ কাটার ছবিও। 

    এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বনদপ্তর। দপ্তরের কর্তারা বলেন, হেঁটে বা হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গল সুরক্ষার কাজ অনেক কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। সেই কঠিন কাজ একেবারে সহজ করে দিয়েছে ড্রোন ক্যামেরার নজেদারি। ড্রোনের সঙ্গে ইন্টারনেট জুড়ে দিয়ে দুর্গম এলাকার লাইভ লোকেশন ও গন্ডার সহ বন্যপ্রাণীদের উপর সারাক্ষণ নজরদারি চালানো হয়েছিল। কয়েকটি ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর সামান্য কিছু ঘটনা ঘটলেও বনকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। 

    তাহলে কি হেঁটে বা হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গলে নজরদারির সাবেকি পদ্ধতি উঠে যাবে? যদিও বনদপ্তর জানিয়েছে একেবারেই তা নয়। জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কাজে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে সেই সাবেকি পদ্ধতিও চালু থাকবে। 

    গত ৫ অক্টোবরের দুর্যোগে জলদাপাড়ার আটটি একশৃঙ্গ গন্ডার তোর্সা নদী দিয়ে ভেসে গিয়ে কোচবিহারের রসমতীর জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল। বনদপ্তর জানিয়েছে, সেই গন্ডারগুলিকেও চিহ্নিত করতে দারুণভাবে সহায়তা করেছিল এই ড্রোন ক্যামেরাগুলি। পরে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে গন্ডারগুলিকে জলদাপাড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। 

    জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, জঙ্গল ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় নিরন্তর ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। ড্রোন ক্যামেরা তারই একটি অঙ্গ। ড্রোন ব্যবহার করে আমরা দারুণ সাফল্য পেয়েছি। ড্রোনের পাশাপাশি হেঁটে ও হাতির পিঠে চড়ে নজরদারিও চলবে। • ড্রোনে হাতির দলের ওপর নজলদারি। 
  • Link to this news (বর্তমান)