সংবাদদাতা, দিনহাটা: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে। ভোট যত কাছে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে দিনহাটা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিজেপির দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎ মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটে। তাঁর বাড়ির লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।
রাজ্যের বিরোধী দলের দাবি, দিনহাটা শহরে তৃণমূলের কোনও জনসমর্থন নেই। সেই কারণেই বিজেপি নেতাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও এই তৃণমূলের গুন্ডামিকে ভয় পায় না বিজেপি বলে তারা দাবি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপির ওই চুনোপুঁটি নেতার বাড়িতে আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কেউ জড়িত নয়। বরং ওই নেতা একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। সেটা নিয়েই পাওনাদারদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকে যদি কেউ কিছু করে থাকে তা হতে পারে। পুলিশে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে খতিয়ে দেখবে।
বিজেপি দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎ মজুমদারের মা দীপ্তি মজুমদার বুধবার বলেন, আমার ছেলে বিজেপি করে। ওই রাতে ছেলে বাড়িতে ছিল না। হঠাৎ করে মধ্যরাতে কিছু দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে এসে ছেলের নাম ধরে গালিগালাজ শুরু করে। ওরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এমনকী বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাও ছোড়ে। ছেলে বিজেপি করে বলেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
কোচবিহার জেলা বিজেপির সম্পাদক অজয় রায় বলেন, তৃণমূলের দিনহাটা শহরে কোনও স্থান নেই। ওদের পায়ের নীচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে না বলেই বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এভাবে মধ্যরাতে আমাদের মণ্ডল সভাপতির বাড়ি ভাঙচুর চালিয়ে লাভ হবে না। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে এর জবাব ভোট বাক্সেই সাধারণ মানুষ দেবে।
দিনহাটা শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি পার্থ সাহা বলেন, বিদ্যুৎ মজুমদারের মতো চুনোপুটি বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর করার প্রয়োজন নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনওরকম সম্পর্ক নেই। বরং শুনেছি বিদ্যুৎবাবু প্রচুর মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা তুলে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকেন। পাওনাদাররা যদি তাঁর বাড়ির উপর চেঁচামেচি করে সেটাই হতে পারে। পুলিশ তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
অন্যদিকে, বিদ্যুৎ মজুমদারের দাবি, কেউ টাকা পেলে অতরাতে আসবে কেন। আসলে ওই রাতে আমাদের একটি মিটিং ছিল। সেখানে প্রচুর লোক জমায়েত হয়েছিল। তা দেখেই তৃণমূলের লোকজন ভয় পেয়ে এসব করেছে। • নিজস্ব চিত্র।