ধান ক্রয় কেন্দ্রে কুইন্টাল প্রতি প্রায় ১০ কেজি ধলতা চাওয়ায় হেমতাবাদে রাজ্যসড়ক অবরোধ
বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: ধান ক্রয় কেন্দ্রে কৃষকদের কাছে চাওয়া হচ্ছে ধলতা। কৃষকদের অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি ৮ থেকে ১০ কেজি ধলতা নেওয়া হচ্ছে। ধলতা দিতে না চাইলে কৃষকদের ধান ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ি মোড়ে কৃষিদপ্তরের সামনে রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। আধ ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আসেন রাইস মিলের মালিক। তাঁদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কৃষকরা আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন।
যদিও ধলতা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাইস মিল মালিক অরূপ পাল। তাঁর বক্তব্য, ধলতা নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। খারাপ ধান থাকলে কৃষকরা নিজে থেকেই এক থেকে দেড় কেজি অতিরিক্ত দিচ্ছে। এবিষয়ে হেমতাবাদের বিডিও বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, কাউকে কোনও ধলতা দিতে হবে না। সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ির কৃষক নাসিরুদ্দিন বলেন, আমি ৩১ কুইন্টাল ৮০ কেজি ধান হেমতাবাদ কৃষক বাজারের ধান ক্রয় কেন্দ্রে এনেছি। আমার কাছে কুইন্টাল প্রতি ৯ কেজি ধলতা চাওয়া হয়েছে। এতটা করে ধলতা দিলে আমাদের লাভ কিছুই থাকবে না। একই বক্তব্য অপর কৃষক সানাউল হকের। তাঁর সংযোজন, আমি ৩১ কুইন্টাল ৬০ কেজি ধান এনে ছিলাম। আমার কাছে প্রতি কুইন্টালে ১০ কেজি ধলতা চেয়েছে। প্রতিবাদ করায় ধান ফেরত নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা পথ অবরোধে শামিল হয়েছি।
কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা ধান ক্রয় কেন্দ্রেও ধলতা নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। কৃষক ফাইজার চৌধুরী ও সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান নিয়ে গেলেই কুইন্টাল প্রতি ৭ থেকে ৮ কেজি ধলতা চাওয়া হচ্ছে। এত পরিমাণ ধলতা দিলে কোনও লাভ থাকবে না। বাঙ্গালবাড়ি মোড়ে পথ অবরোধ।-নিজস্ব চিত্র