ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে পথে এনায়েতপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া-শিক্ষক, অভিভাবকরা
বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: এনায়েতপুরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজন অভিযুক্তকে। যদিও স্কুলের আবেদন সত্বেও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বা সিভিক মোতায়েন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আক্রান্ত শিক্ষক। অন্যদিকে, বুধবার ঘটনার প্রতিবাদে সভা ও মিছিল করে ধিক্কার জানালেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা। মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর হাইস্কুলের সামনে বহিরাগতদের হাতে আক্রান্ত হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ বদিউজ্জামান। বেধড়ক মারধরে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। মানিকচক থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে বুধবার পাঠানো হয় মালদহ জেলা আদালতে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন পথে নামে ছাত্রছাত্রীরা। ‘ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে, লড়তে হবে একসাথে’, এই স্লোগান তুলে এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিদ্যালয় থেকে এনায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অভিভাবকরাও।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতাভ সরকার বলেন, যেভাবে বহিরাগত যুবকরা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা করেছে, এর সম্মিলিত প্রতিবাদ করা প্রয়োজন। ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের লড়াইয়ে পাশে থাকতে আমাদের এই ধিক্কার মিছিল। তবে, এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। হামলার পর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য সিভিক বা পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন মানিকচক থানায়। কিন্তু এদিন বিদ্যালয়ের দেখা গেল না কোনও সিভিক বা পুলিশকে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহত বদিউজ্জামান। বলেন, মানিকচক থানার পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জানি না কেন কোনও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়নি। অসুস্থ থাকায় এদিন ছুটি নিয়েছি। কিছুদিন পরেই বাৎসরিক পরীক্ষা। পুনরায় যাতে এমনটা না ঘটে, পুলিশের কাছে আবেদন জানাব নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। মানিকচক থানার আইসি সুবীর কর্মকারকে ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাননি। নিজস্ব চিত্র