শিলিগুড়ি শহরের বহু হাইমাস্টের লাইট বিকল, সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ডুবছে বিভিন্ন এলাকা
বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ল্যাডারের অভাব! তাই শিলিগুড়ি শহরে প্রচুর হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভের বিকল লাইট পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। এনিয়ে শহরের নাগরিকদের একাংশ রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁরা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই অবস্থায় আরও একটি হাইড্রোলিক ল্যাডার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। ইতিমধ্যে তারা এ ব্যাপারে একটি সংস্থাকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা আরও ২৫শো এলইডি লাইট কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
উত্তরবঙ্গ তো বটেই রাজ্যের মধ্যে বড় শহরগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি একটি। এই শহর উত্তরবঙ্গে ‘হৃদয়’। প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও সিকিম এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই শহরে লোকসমাগম ক্রমবর্ধমান। ঘুরতে, পড়াশোনা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ বিভিন্ন কারণে এখানে ভিনরাজ্য ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মানুষেরা আসছেন। কিন্তু, সন্ধ্যার পর শহরের বেশকিছু এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকছে। হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভের লাইট জ্বলছে না বলে অভিযোগ। এনিয়ে ক্ষুব্ধ নাগরিকদের অভিযোগ, পুরকর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে শহরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অন্ধকার আচ্ছন্ন এলাকায় অপরাধও বাড়ছে। কাজেই, এ ব্যাপারে পুরসভার নজর দেওয়া উচিত।
শহরে ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি সংযোজিত এলাকা। সেগুলি জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতেই বেশকিছু জায়গায় হাইমাস্ট ও মিনি হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভের লাইট দীর্ঘদিন ধরে বিকল। পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে হাইমাস্ট ও মিনি হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভের সংখ্যা প্রায় ২৫শো। সেগুলি হিলকার্ট রোড সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে, বিভিন্ন পার্ক ও মাঠের পাশে বসানো রয়েছে। যারমধ্যে ২৫০টি স্তম্ভের লাইট বিকল রয়েছে বলেই খবর।
পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য কমল আগরওয়াল বলেন, বর্তমানে দু’টি হাইড্রোলিক ল্যাডার রয়েছে। যারমধ্যে একটি তেমন চলে না। তাই ২৫ লক্ষ টাকায় নতুন আরওএকটি ল্যাডার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে এজন্য একটি সংস্থাকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ল্যাডার আসার পর মিনি হাইমাস্ট ও হাইমাস্ট বাতিস্তম্ভের বিকল লাইট পরিবর্তনের কাজে আরও গতি আসবে। সেই সঙ্গে পুরসভায় ল্যাডারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে তিনটি।
এরবাইরে শহরকে আলো ঝলমলে রাখতে আরও ২৫শো এলইডি লাইট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য বলেন, পুজোর আগে শহরে ১২০ ওয়াটের হাজারটি লাইট দেওয়া হয়। এখন আরও এক হাজারটি ১২০ ওয়াটের লাইট বসানো হবে। সেই লাইন আনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এরপর ৭০ ওয়াটের আরও ১৫০০টি লাইট বসানো হবে। কাজেই, পুরসভার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। শহরের পথবাতি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সর্বদা তৎপর রয়েছে পুরসভা। • নিজস্ব চিত্র।