• এসআইআরের কাজে উজ্জীবিত তৃণমূল
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: দায়িত্ব পেয়েই আরামবাগ মহকুমা চষে বেড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি হুগলির খানাকুল, আরামবাগ, গোঘাট ও পুরশুড়া বিধানসভা এলাকায় যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়, নেত্রী অসীমা পাত্র, রাজ্য সম্পাদক স্বপন নন্দী, যুব সভাপতি পলাশ রায় প্রমুখ। এদিন দলীয় ওয়ার রুমে গিয়ে এসআইআরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন অরূপবাবু। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। এমনকি, এসআইআরের কাজে গতি বাড়াতেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। তিনি এদিন নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির বি টিম বলে তোপ দেগেছেন।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগ মহকুমার চারটি আসনই হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হলেও মহকুমার ফল শাসকদলের খুব একটা ভালো নয়। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। মহকুমার চারটি আসন পুনরায় নিজেদের দখলে রাখতে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি জেলার দায়িত্ব অরূপবাবুকে দেন। তারপর এদিন আরামবাগ মহকুমায় আসেন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন। পোড় খাওয়া রাজ্যের মন্ত্রীকে নিজেদের মধ্যে পেয়ে উজ্জীবিত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অরূপবাবু এদিন প্রতিটি বিধানসভায় গিয়ে বিএলএ-২, সুপার ভাইজার সহ দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ দেন, প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে ফর্ম জমা দেওয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তারসঙ্গে দলীয় পোর্টালে তা ১০০ শতাংশ আপলোড করার কাজও নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি, খসড়া তালিকা প্রকাশের পর কোথাও কোনও অসংগতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি যাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে তাঁদের প্রয়োজনীও নথি সংগ্রহের কাজেও দলীয় কর্মীদের সাহায্য করার নির্দেশ মন্ত্রী দিয়েছেন। এসআইআর-এর কাজে কোথাও যেন ফাঁক না থাকে, তা নিশ্চিত করে কড়া বার্তাও দেন মন্ত্রী। 

    এদিন অরূপবাবু প্রথমে খানাকুলের নাঙ্গুলপাড়ায় দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে রামনগরে তৃণমূলের এসআইআর সহায়তা শিবিরে যান। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে খানাকুল থেকে আরামবাগের নেতাজি স্কয়্যারে ক্যাম্পে আসেন। সেখান থেকে গোঘাটের কামারপুকুর ও পুরশুড়ার শিবিরে হাজির হন। প্রত্যেকটি জায়গায় এসআইআর-এর কাজ দলীয়স্তরে কতটা এগিয়েছে, তার খোঁজ নেন। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিকে আক্রমণও করেছেন। একইসঙ্গে এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিঁধেছেন। 

    অরূপবাবু বলেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপির বি টিম। ২০০২ সালে এসআইআর দু’বছর ধরে হয়েছিল। কিন্তু, এখন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তা দু’মাসে করা হচ্ছে। তাই আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে এই কাজে সহায়তা করতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প খোলা হয়েছে। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে রাজ্যে কোথাও ওই ক্যাম্প খোলা হবে না। বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মীরা রাস্তায় আছেন। ইতিমধ্যে ৩৮ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। বিজেপি মানুষের ভালো কিছু করতে পারে না। মানুষ মারার সরকারের নামই বিজেপি।
  • Link to this news (বর্তমান)