সংবাদদাতা, লালবাগ: হেরোইনের পর এবার বোমা। একটি গ্রামের আমবাগানে বোমা রেখে আসার অভিযোগ উঠল লালগোলা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। ওই ভিডিওতে গ্রামবাসীরা দাবি করছেন, রাতের অন্ধকারে পুলিশ গিয়ে ওই আমবাগানে বোমা রেখে যায়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা ‘বর্তমান’ যাচাই করেনি। এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ভিডিওকে ‘ফেক’ দাবি করে বলা হয়েছে, জেলাজুড়ে বোমা উদ্ধার অভিযান চলছে। সোর্স মারফত খবর আসে লালগোলা থানার বিলবোরাকোপরা পঞ্চায়েতের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের নিকটবর্তী একটি আমবাগানে বোমা মজুত রাখা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর লালগোলা থানার পুলিশের একটি টিম ওই আমবাগানে তল্লাশি চালায় এবং একটি ব্যাগের মধ্যে ১০টি সুতলি বোমা পায়। নিরাপত্তাজনিত কারণে বোমাগুলিকে পুলিশ ঘিরে রেখে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর দেয়। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিওটি তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশই বোমা রেখে গিয়েছে এই দাবিতে অনড়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে এবং গ্রামকে কলুষিত করতেই খোদ পুলিশ ব্যাগ ভর্তি বোমা আমবাগানে রেখে গেছে বলে দাবি তাঁদের। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গত ২৩ নভেম্বর রাতে আমি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় দেখি পুলিশের গাড়ি আমবাগানের দিকে যাচ্ছে। রাতে পুলিশ বোমা আমবাগানে রেখে আসে। অপর এক বাসিন্দা বলেন, বোমা উদ্ধারের এক ঘণ্টা আগেও ওখানে কিছু ছিল না। হঠাৎ ব্যাগ ভর্তি বোমা এল কোথা থেকে? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে জেলাজুড়ে বোমা উদ্ধার অভিযান চলছে। জেলা পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে দুই হাজারের বেশি বোমা উদ্ধার হয়েছে। তবে পুলিশের এই বোমা উদ্ধার অভিযান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বলছেন, জেলাজুড়ে এত বোমা মজুত ছিল অথচ পুলিশ কিছু জানতে পারেনি। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো এখন সব বেরিয়ে আসছে।