• অভিষেকের কঠোর বার্তার পরই ভোট রক্ষা শিবিরে নেতা মন্ত্রীরা
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরই শিল্পাঞ্চলে ত্রস্ত তৃণমূলের তাবড় নেতারা। গা ঝেড়ে সকলেই নেমে পড়েছেন এসআইআরের কাজ তদারকিতে। অভিষেকের নিশানায় থাকা জেলার দুই প্রভাবশালী বিধায়কও দ্রুত বদলে ফেলেছেন নিজেদের। 

    সোমবার এসআইআরের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের নেতা-কর্মীদের উপর তাঁর অদৃশ্য নজরদারি রয়েছে। এসআইআর নিয়ে কোন নেতা কী ভূমিকা পালন করছেন, তাও আকারে-ইঙ্গিতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আর তা করতে গিয়ে ওই দুই বিধায়ককে সতর্ক করতেও দ্বিধা করেননি তিনি। সেই সঙ্গে বিধায়কদের টার্গেটও বেঁধে দেন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রতি বিধায়ককে নিবিড় ভাবে এসআইআরের কাজের তদারকি করতে হবে। নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের বিএলএ-২’দের ফোন করে ইনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ করার প্রক্রিয়ার খোঁজ নিতে হবে। একজন বিধায়ক প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ জন বিএলএকে ফোন করবেন। নির্দেশ ছিল সেনাপতির। তবে, যে এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক নেই, ঩সেখানে একটি কমিটি এই কাজ সম্পন্ন করবে। 

    রাজ্যে এসআইআরের কাজে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাংলার ভোট রক্ষা শিবির চালু করেছে তৃণমূল। সেই শিবিরগুলি কতটা সক্রিয়? সেগুলি দেখতে কী আদৌ নেতারা যাচ্ছেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় অভিষেককে। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠক থেকেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার ওই দুই প্রভাবশালী এমএলএ’র নাম নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নিজেদের এলাকার ক্যাম্পেই তাঁরা যাচ্ছেন না।’ তাঁর এমন মন্তব্যে শাসকদলের অন্দরে জোর চর্চা হয়। তৃণমূলের একটা অংশও ওই দু‌ই বিধায়কের দ্বন্দ্ব নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। দু’জনের সাপে-নেউলে সম্পর্কের সর্বজনবিদিত। যেটা সেনাপতি ভালোভাবে নিচ্ছেন না বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের। 

    স্বাভাবিকভাবেই সেনাপতির বার্তা পেয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নব উদ্যোমে এসআইআরের কাজে ঝাঁপিয়েছেন। গত দু’দিনে নিজের বিধানসভা এলাকার একাধিক শিবির পরিদর্শন করেছেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    বুধবার তিনি বলেন, ‘দলের সাধারণ সম্পাদক বার্তা দিয়েছেন প্রতিদিন ১৫ জন বিএলএকে ফোন করতে হবে। আমি সোম ও মঙ্গলবার মিলে ৩১ জন বিএলএকে ফোন করেছি। কয়েকজন বাদ দিয়ে সবাই খুব ভালো কাজ করছেন।’ এদিন সকাল থেকে নিজের এলাকা চষে বেড়াতে দেখা যায় রাজ্যের শ্রম ও আ‌ইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। ৫১, ৪৯, ৪৮ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলার ভোট রক্ষা শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন তিনি। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের নেতার বার্তা পেয়েছি। আমার বেশিরভাগ এলাকা গ্রামাঞ্চলে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে এসআইআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)