ডিজিটাইজেশনের পিছিয়ে থাকা বিএলওদের বিডিও অফিসে বসিয়ে করানো হচ্ছে কাজ
বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ইনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজে পিছিয়ে থাকা ৮০জন বিএলওকে বিডিও অফিসে এনে কাজে গতি আনছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। পারফরম্যান্স ৪০শতাংশ কিংবা তার নীচে থাকা বিএলওদের বিডিও অফিসে ডেকে পাঠিয়ে সেখানেই ওই কাজ শুরু হয়েছে। ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ওই কাজ প্রায় শেষ করার লক্ষ্যে প্রশাসন ঝাঁপিয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত ডিজিটাইজেশনের কাজ করা বিএলওদের বিডিও অফিসে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ইউনিস ঋষিণ ইসমাইল বলেন, যাঁদের পারফরম্যান্স ৪০শতাংশ কিংবা তার কম, সেইসব বিএলওকে বিডিও অফিসে এনে ওই কাজ হচ্ছে। এরকম প্রায় ৮০জন বিএলও আছেন। পিছিয়ে থাকা বুথে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য এটা করা হয়েছে। আমাদের জেলায় বিএলওরা ভালো সহযোগিতা করছেন। বুধবার পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ৮২শতাংশ এসআইআর ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ২০জন বিএলও ১০০শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছেন। তাঁদের বাহবা দিচ্ছে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ৭৮হাজার নন ম্যাপিং ভোটার পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ ওইসব ভোটারের পরিবারের কোনও সদস্যের নাম ২০০২-এর তালিকায় ছিল না। তাঁদের বাড়ি বাড়ি নোটিশ পাঠিয়ে বিডিও অফিসে শুনানিতে ডাকা হবে। ২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকা পরিবার ২০২৫ সালের তালিকায় কীভাবে জায়গা পেল, সেটাই জানতে চাইবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার(এইআরও)। তবে, ডিজিটাইজেশনের কাজ ১০০শতাংশ হয়ে গেলে ৭৮হাজার সংখ্যাটা বেড়ে এক লক্ষ কিংবা তারও কিছু বেশি হতে পারে বলে প্রশাসন মনে করছে। পূর্ব মেদিনীপুরের সূতাহাটা এবং চণ্ডীপুর ব্লক ডিজিটাইজেশনের কাজে পিছিয়ে আছে। ওই দুই ব্লকের অধিকাংশ বিএলওর পারফরম্যান্স খারাপ। অতিরিক্ত জেলাশাসক(ভূমি) বৈভব চৌধুরী এনিয়ে সূতাহাটার বিএলওদের সঙ্গে দেখা করে কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁদের বিডিও অফিসে বসিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। খেজুরি-১ ব্লকে ১৭দিনের মধ্যে ১০০শতাংশ ডিজিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ করা চার বিএলওকে সংবর্ধনা জানিয়েছে ব্লক প্রশাসন। মহিষাদল বিধানসভার ২৬১নম্বর বুথের বিএলও অনুপকুমার পাঁজা ১০০শতাংশ ডিজিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ করার পর হলদিয়ার বিডিও, ভোটার এবং বুথ লেভেল এজেন্টদের ধন্যবাদ জানান। তাঁর বুথে মোট ১৪২৭ ভোটার। অনুপবাবু নির্বিঘ্নে কাজ সম্পূর্ণ করেছেন।
জেলায় প্রায় ১৩হাজার মৃত ভোটারের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও, বেশকিছু স্থানান্তর, ডুপ্লিকেট ও মিসিং ভোটার আছেন। ১০০শতাংশ ডিজিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর মৃত, স্থানান্তর মিলে প্রায় ২৫হাজার নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, নন ম্যাপিং ভোটারদের জন্য নোটিশ পাঠানো ও শুনানির ব্যবস্থা করা হবে। বিডিও অফিসে চার-পাঁচটি করে টেবিল পেতে শুনানি হবে। জেলার মোট ১৬টি বিধানসভার প্রতিটিতে ছয়-সাত হাজার নন ম্যাপিং ভোটার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, বুধবার পর্যন্ত ৭৮ হাজার নন ম্যাপিং ভোটারের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আনুমানিক এক লক্ষ নন ম্যাপিং ভোটারের তথ্য সামনে আসতে পারে। তাঁদের নোটিশ পাঠিয়ে শুনানি হবে।