• বদলি প্রক্রিয়ায় একাধিক স্কুলে বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষক, শীঘ্রই জারি তৃতীয় বিজ্ঞপ্তি
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া জেলাজুড়ে এখনও শতাধিক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা মাত্র এক। বদলি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই স্কুলগুলিতেও ন্যূনতম আরও একজন করে শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে। শীঘ্রই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তৃতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগে প্রথম ধাপের বদলি প্রক্রিয়ায় বেশকিছু ত্রুটি সংশোধন করা হবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) কানাইলাল বাঁকুড়া বলেন, দ্রুত জেলার প্রতিটি স্কুলেই শিক্ষক সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে ৯৭ এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৭৯টি সিঙ্গল টিচার্স স্কুলে বদলি প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। এবার তৃতীয় দফায় ফের সংসদের চেয়ারম্যান বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন। তার আগে দ্বিতীয় দফার বদলি প্রক্রিয়ায় থাকা কিছু ভুলত্রুটি সংশোধনের কাজ চলছে। দ্রুততার সঙ্গেই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। 

    সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় মোট ৪১৮টি স্কুলে মাত্র একজন করে শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরেই দায়িত্ব সামলে চলেছিলেন। যদিও এই জেলাতেই উল্টো চিত্রও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, জেলায় এমন একাধিক স্কুল রয়েছে, যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষিক-শিক্ষিকা রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষাদপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরপরই সংসদ কর্তৃপক্ষ ৩২১টি স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নজর দেয়। প্রথম ধাপে বদলি প্রক্রিয়ায় ৯৭টি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৭৯টি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যদিও ওই বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। অভিযোগ, বেশকিছু ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের স্কুলে বদলি করা হয়েছে। ঘটনায় শিক্ষকমহলে ক্ষোভের পারদ চড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে সংসদ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ত্রুটি সংশোধনের কাজ শুরু করেছে। 

    সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, ত্রুটি সংশোধনের কাজ শেষ হওয়ার পরই জেলার বাকি ১৪২টি স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নতুন করে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বদলি প্রক্রিয়া পুরোপুরি সম্পন্ন হলেই শিক্ষক-শিক্ষিকা সংকটের সমস্যা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হবে। এবিষয়ে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ সভাপতি চন্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, সংসদের ভুলেই জেলার শিক্ষা পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। সেই ভুল সংশোধন করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ ভুলে ভরা বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আমরা চাই দ্রুত প্রতিটি স্কুলেই শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানো হোক। তবে এক্ষেত্রে অবশ্য জেলার যেসব স্কুলে বাড়তি শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে সেখান থেকেই বদলি করা হোক। এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে শহরের স্কুলগুলি থেকেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যত্র বদলি করতে হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)