• স্ত্রীকে খুনের পর ঘরে বসেই মদ্যপান, বারাকপুরে গ্রেফতার প্রাক্তন সেনাকর্মী
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: প্রাক্তন সেনাকর্মী স্বামীর মারে প্রাণ হারালেন স্ত্রী। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুরের মোহনপুর থানা এলাকার গ্রিন পার্কে। মৃতার নাম গীতা বিশ্বাস (৫৩)। অভিযুক্ত প্রৌঢ় সমীর বিশ্বাসকে (৫৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, স্ত্রীকে খুনের পর ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন সমীর।    

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহের জেরে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হত। ছেলেমেয়ে ভিনরাজ্যে চাকরি করেন। স্ত্রী সন্দেহ করতেন, অন্য মহিলার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি দুজনের ঝগড়া থামাতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকেও। তবে বুধবার বেলা এগারোটা ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, দরজার খিল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে খুন করেন স্বামী। প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন, মহিলা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। মাথা দিয়ে রক্ত বেরচ্ছে। সমীর বিশ্বাস দোতলার একটি ঘরে বসে আছেন। সামনে রয়েছে মদের গ্লাস। স্ত্রীকে মাথায় দরজার খিল দিয়ে মেরে মদ খাচ্ছেন। প্রতিবেশীরা দেখে হতবাক।  মোহনপুর থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল করকেও। আহত গীতা বিশ্বাসকে বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মোহনপুর থানার পুলিশ এসে সমীর বিশ্বাসকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মোহনপুর থানার পুলিশ।

    মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল কর জানান, স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিনই গোলমাল লেগেছিল। একবার সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম, যাতে সমস্যা মিটে যায়। সমীরবাবুর সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্ক আছে বলে স্ত্রীর অভিযোগ ছিল। রানাঘাটে গীতাদেবীর বাপের বাড়ি। সেখানে তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। এলাকায় সবাই জানত, ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। উনি সেনায় চাকরি করতেন। খুব মর্মান্তিক ঘটনা। এলাকার মহিলারা এদিন পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তারা ঘাতক সমীর বিশ্বাসের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। দেহ ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ছেলেমেয়েদেরও খবর পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)