বাংলাদেশের জেলে পিটিয়ে হত্যা, অভিযোগ মৎস্যজীবীর পরিবারের, কাকদ্বীপে এল দেহ
বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : বাংলাদেশ থেকে কাকদ্বীপে বাড়িতে ফিরল মৃত মৎস্যজীবী বাবুল দাসের দেহ। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি গাড়িতে তাঁর কফিনবন্দি দেহ এসে পৌঁছয়। মৃত্যুর প্রায় ১২ দিন পর দেহটি এল বাড়িতে। তারপরই শুরু হল বিতর্ক।
মৃতদেহ দেখার জন্য কফিন খোলার পর পরিবার হতবাক হয়ে পড়ে। তাঁদের অভিযোগ, বাবুলকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তিনি কানে শুনতে পেতেন না। কথাও বলতে পারতেন না। সেই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের জেলের ভিতর তাঁকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃতের বাবা নির্মল দাস বলেন, ‘কফিন খুলতেই দেখা যায়, ছেলের শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন আছে। ওকে মারধর করা হয়েছে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। একটা দাঁতও ভাঙা ছিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুটো করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ অজ্ঞাত বলে লেখা আছে। ওকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।’ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে বাবুলের পরিবার এই মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
১৪ জুলাই বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী এফবি ঝড় ও এফবি মঙ্গলচণ্ডী নামে ভারতীয় দু’টি ট্রলার আটক করেছিল। অভিযোগ, ট্রলার দু’টি আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। ট্রলারে থাকা ৩৪ মৎস্যজীবী বর্তমানে বাংলাদেশের জেলে আছেন। জেলের মধ্যেই এফবি মঙ্গলচণ্ডী ট্রলারে থাকা বাবুলের মৃত্যু হয়।
১৪ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুর পর ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস তাঁর বাড়িতে এই খবর পৌঁছে দেয়। বাংলাদেশের হাই-কমিশনারের পক্ষ থেকে পরিবারকে জানানো হয়েছিল, জেলে থাকাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুলের মৃত্যু হয়েছে। এরপর মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে দেহ কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পশ্চিম গঙ্গাধরপুর গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়। কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে পৌঁছনোর পর বাবুলবাবুর আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের দাবি তোলেন।