• মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিরিটি মহাশ্মশানের সংস্কার, কাজ পরিদর্শনে মেয়র ফিরহাদ
    বর্তমান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতীক্ষালয়। মন্দিরের পাশে পুকুর। তা ভর্তি থাকবে আদিগঙ্গার জলে। সেখানে অস্থি বিসর্জন দেওয়া যাবে। চুল্লিতে মৃতদেহ সৎকার চলাকালীন পাশে সবুজ উদ্যানে বিশ্রাম নিতে পারবেন মৃতের প্রিয়জনেরা। সবমিলিয়ে নব কলেবরে প্রায় প্রস্তুত সিরিটি মহাশ্মশান। 

    সংস্কার কাজের উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। বুধবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং মেয়র পারিষদ তারক সিং, সন্দীপরঞ্জন বক্সি সহ স্বাস্থ্যবিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের আধিকারিকরা জায়গাটি পরিদর্শন করেন। কাজের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট মেয়র। শ্মশান সাজিয়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল তারক সিংয়ের উপর। তিনি জানান, ঋতুপর্ণ ঘোষকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সিরিটি মহাশ্মশানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রাতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, বদলাতে হবে সিরিটি মহাশ্মশানের হাল। তারপর তৎপর হয় পুরসভা।  তারক সিং বলেন, ‘রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কেনা হয়েছে শ্মশান সংলগ্ন প্রায় ১৪ কাঠা জমি। খরচ পড়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা।’ জানা গিয়েছে, শ্মশান সংস্কারে সাড়ে আট কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সিরিটি মহাশ্মশানে এতদিন দু’টি বিদ্যুতের চুল্লি ছিল। এবার আরও দু’টি চালু হবে। অর্থাৎ মোট চারটি চুল্লি থাকবে। এছাড়াও একটি পরিবেশবান্ধব কাঠের চুল্লি রাখা হবে। শ্মশান বন্ধুদের প্রতীক্ষার জন্য থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতীক্ষালয়। শ্মশান চত্বরে মন্দির এবং কাফেটেরিয়া হবে।

    শ্মশানটি নবরূপ প্রাপ্তির পর কবে চালু হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। জানা গিয়েছে, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই বিষয়টি নিয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাই তাঁকে উদ্বোধনের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, শ্মশান ও সংলগ্ন এলাকায় গাড়ি চলাচল আরও সুগম করতে টালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে শ্মশানগামী রাস্তার বিভিন্ন অংশ চওড়া করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ছোট দোকান বা অস্থায়ী দোকান ছিল, সেগুলির দখলদারদের সরানো হয়েছে। তারপর নতুন করে তৈরি হয়েছে রাস্তা।  সিরিটি মহাশ্মশানে পরিদর্শনে মেয়র সহ পুরসভার অন্য কর্তারা-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)