এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলার বিচার এবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টে হবে। বুধবার এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। অর্থাৎ এসএসসির কোনও মামলার বিচার আর সুপ্রিম কোর্টে নয়। এই সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি করবে হাইকোর্টই। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি অলোক আরাধের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসির মামলা নিয়ে একাধিক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এর দরুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতিরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে যোগ্যরা যাতে বঞ্চিত না হন ও একজন দাগি চাকরিপ্রার্থী যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পারেন তার উপর নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের গোটা প্যানেল দুর্নীতিগ্রস্ত থাকায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পুরো প্যানেলই বাতিল করে দেওয়া হয়। আদালতের এই নির্দেশে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। তারপরে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশমতো কমিশনের তরফে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার আয়োজন করে। এই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল পরীক্ষায় যাতে কোনোভাবেই দাগি চাকরিপ্রার্থীরা অংশগ্রহণ করতে না পারেন।
পাশাপাশি পরীক্ষার আগে থেকেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চাকরিপ্রার্থীদের যে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার আগে থেকেই শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরীক্ষার পরেও দাগিদের পরীক্ষায় বসা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। কমিশনের তরফে বলা হয়, প্রতিবন্ধী দাগি চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া যেতে পারে। তবে বুধবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের নির্দেশ, কোনও দাগি চাকরিপ্রার্থীকেই চাকরি দেওয়া যাবে না।
আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এবার থেকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। যদি হাইকোর্টের কোনও রায় নিয়ে সমস্যা থাকে তাহলে সুপ্রিম কোর্টে তা নিয়ে আবেদন জানানো যাবে। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও অলোক আরাধের বক্তব্য, ২০১৬ সালের পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর ২০২৫ সালে নতুন করে নেওয়া শিক্ষক নিয়োগ মামলায় যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কারণেই হয়েছে।
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন।