• সাতে উঠল সিমনির চিতাবাঘ, এবার নতুন পুরুষ হাজির জঙ্গলে
    এই সময় | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, পুরুলিয়া: বন দপ্তরের বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় আগেই ধরা পড়েছিল চিতাবাঘের ছবি। শাবকদের খুনসুটির ছবিও পায় বন দপ্তর। বন আধিকারিকরা একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছিলেন, জঙ্গলে পাকাপাকি ভাবে সংসার পেতেছে চিতাবাঘ। আবারও পুরুলিয়া বন বিভাগের জঙ্গলে লেপার্ডের ছবি ধরা পড়ল ট্র্যাপ ক্যামেরায়। ছবিতে চিতাবাঘের বলিষ্ঠ চেহারা হওয়ায় জঙ্গলে নতুন লেপার্ডের প্রবেশ ঘটেছে বলে মনে করছে বন দপ্তর। সেই চিতাবাঘ জঙ্গলে শিকার করছে- এমন ছবিও পাওয়া গিয়েছে।

    বুধবার পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, 'একটি নতুন পুরুষ চিতাবাঘের আগমন ঘটেছে জঙ্গলে। এতে বোঝা যায় যে জঙ্গল সমৃদ্ধ হচ্ছে। বনকর্মীরা জঙ্গলে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন। সিমনি বনাঞ্চলে এই নিয়ে চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতটি।' জীব বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সিমনির জঙ্গলকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রস্তাব পাঠানোর কথা ভাবছে বন দপ্তর। ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা কোটশিলার সিমনির গভীর জঙ্গলে লেপার্ড, ভাল্লুক সমেত একাধিক বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি রয়েছে।

    ২০২২-এর আগে থেকে সিমনি বিট এলাকায় জঙ্গলে মাঝেমধ্যে গবাদি পশুর দেহ পাওয়া যাচ্ছিল। সেইসব খোবলা দেহ দেখেই বন দপ্তরের সন্দেহ হয়। একাধিক পায়ের ছাপও দেখতে পান বনকর্মীরা। কিছু দিন পরে পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এর পরেই বছর তিনেক আগে একটি স্ত্রী চিতাবাঘ শাবকের জন্ম দেয়। সেগুলি সাব এডাল্ট হয়ে ট্র্যাপ ক্যামেরায় তাদের ছবি ধরা পড়ে।

    এক সময়ে লোকালয়েও আসত লেপার্ড। সিমনি বিট ছেড়ে পাশের নোয়াহাতু বিটের তাহেরবেড়া গ্রামেও চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। গোয়ালঘর থেকে গবাদি পশু টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। এখন বন দপ্তর মনে করছেন, ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে নতুন চিতাবাঘটি এই বনাঞ্চলের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে। কয়েকদিন আগে ওই জঙ্গলের একটি ভাল্লুকের ছবি ট্র্যাপ ক্যামরায় ধরা পড়ে।

  • Link to this news (এই সময়)