• যোগীরাজ্যের মানুষ উপার্জনের খোঁজে হাজির ‘নিরাপদ’ বঙ্গে
    এই সময় | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: উত্তরপ্রদেশে 'ডাবল ইঞ্জিন' সরকার কাজের সুযোগ করে দিতে পারছে না গরিব মানুষকে। বাধ্য হয়ে শীতের মরশুমে তাঁরা হাজির হয়েছেন এই বঙ্গে। রূপনারায়ণপুর, সালানপুর, রানিগঞ্জ, কুলটির নিয়ামতপুর, বরাকরের বিভিন্ন বাজার ও রাস্তার ধারে ধারে তাঁদের দেখা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত এই দলের একটি বড় অংশ নিয়ে এসেছে কম্বল। কেউ আবার এনেছেন শীতবস্ত্র, চাদর, বালিশ-সহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ছোট ছোট তাঁবু খাটিয়ে বা ফুটপাথে দোকান খুলে বসেছেন তাঁরা। সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের কম্বল।

    অধিকাংশ কম্বল আবার লুধিয়ানা বা দিল্লি অঞ্চলের বলে দাবি করা হচ্ছে। রূপনারায়ণপুর রাজ্য সড়কের পাশে এমন দু'টি এলাকায় দোকানে থাকা উত্তরপ্রদেশের আজমগড় এবং বেরিলির দুই বাসিন্দা জানালেন, কাজের সুযোগ নেই, ফলে সংসার চালাতে তাঁরা বেছে নিয়েছেন এই রাজ্যকে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের শীতবস্ত্রের ভালো চাহিদা থাকে এই সময়ে। সেগুলি নিশ্চিন্তি বিক্রি করতে এসেছেন তাঁরা। গত বছরও তাঁরা এই বঙ্গে ব্যবসা করে ভালোই লাভবান হয়েছেন। কোনও ধরনের সমস্যাও হয়নি। রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় থেকে বাজারের দিকে যাওয়ার পথে খাট পেতে কম্বল, বালিশ সাজিয়ে বিক্রি করছেন তাঁরা।

    কমবেশি সকলেই মানছেন, 'এখানে শান্তিতে ব্যবসা করে আমরা যে মুনাফা করি, তাতেই সংসার চলছে। কয়েক মাস থাকব এখানে। বাংলায় ব্যবসা করা আমাদের কাছে নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক।' এই বিক্রেতাদের থেকে শীতবস্ত্র কিনে খুশি স্থানীয়রাও। মহুয়া চট্টোপাধ্যায় এবং সংক্ষিপ্ত মাহাতা নামে দুই মহিলা বলেই ফেললেন, 'ঠান্ডা পড়তে শুরু করেচে রূপনারায়ণপুর-সহ সমগ্র এলাকায়। বড় দোকানে এই ধরনের শীতবস্ত্রের দাম অনেক বেশি হয়। তুলনায় এখানে দাম কম। তা ছাড়া নানা ধরনের জিনিসও রয়েছে। মনের মতো কম্বল এবং গরম চাদর পাচ্ছি কম দামে। সেটাও আমাদের কাছে বড় একটা প্রাপ্তি।'

  • Link to this news (এই সময়)