ভাল ঠান্ডা না পড়ায় এখনও জমে ওঠেনি পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ফুলের চারা বিক্রির ব্যবসা। চাষিদের দাবি, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য থেকে আসা পাইকারদের চারা কেনার প্রবণতা এখনও পর্যন্ত কম।
দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ধান-আলুর মতো প্রচলিত চাষ ছেড়ে পারুলিয়া, পলাশপুলি, পূর্বস্থলী, লক্ষ্মীপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ফুল ও ফলের চারা তৈরির মতো বিকল্প চাষ শুরু করেছেন অনেকে। এখন এই এলাকায় রয়েছে একশোর বেশি নার্সারি। শীতের মরসুমে গাঁদা, ক্যালেন্ডুলা, গ্যাজেনিয়া, অ্যাস্টার, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ মিলিয়ে অন্তত ৭০ ধরনের চারা তৈরি হয় সেখানে। মাস দু’য়েক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। শীত পড়তেই ছোট গাছে ফুল ধরতে শুরু করলেই ভিন্ রাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা ট্রাক নিয়ে হাজির হন। বিভিন্ন জেলায় ট্রেনেও চারা গাছ পাঠানো হয়। আবার স্থানীয় যুবকেরাও মাথায় করে চারা নিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করেন।
চাষিদের অভিযোগ, এ বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জমি তৈরির কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় চারা তৈরিতেও দেরি হয়েছে। এখন মাঠে চারা পাওয়া গেলেও খদ্দের কম। পারুলিয়ার নার্সারি মালিক তপন কর্মকার বলেন, “এই সময় ঠান্ডা পড়ে। তখনই মরসুমি ফুলের চারা কেনেন ক্রেতারা। কিন্তু তাপমাত্রা না নামায় ফোড়েদের আগ্রহও কম। এমন চললে লাভ কমে যাবে।” তিনি আরও জানান, এলাকায় বহু মানুষ ফুলের চারা চাষের উপরে নির্ভরশীল। চারা বিক্রির জন্য একটি পাইকারি বাজার হলে সুবিধে হবে। বাইরের ক্রেতারাও বেশি আসবেন। চাষি রাজু দে জানান, দুর্যোগে অনেক চারা নষ্ট হয়েছে। এখনও তেমন শীত না পড়ায় আয়ের আশাও কম। আবার চারা চাষে সরকারি উৎসাহও খুব একটা মেলে না বলে অভিযোগ তুলেছেন চাষিরা।
পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বড় ব্যবসায়ীরা মাঠেই চারা কেনেন, তাই আলাদা বাজার খুব লাভজনক নাও হতে পারে। তবু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”