শিলিগুড়িতে প্রস্তাবিত মহাকাল মন্দিরের জমি IT পার্কের? অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রীর
আজ তক | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
Mahakal Mandir Land Controversy: কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির তৈরি করার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্য় জমিও দেখা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। গত সোমবার রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহরও দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। এখানেই আপত্তি জানিয়েছেন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি আবার শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়রও।
শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার লক্ষ্মী টাউনশিপে পূর্বে লিজধারী হিসেবে থাকা ২৫.১৫ একর জমির মধ্যে ১৭.৪১ একর ফাঁকা ও ব্যবহারবিহীন অংশ এবার বিনামূল্যে (১ টাকায়) রাজ্য সরকারের হাতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে ওই জমি রাজ্যের পর্যটন দফতরের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি নতুন ট্রাস্ট গঠন করা হবে। ট্রাস্ট গঠনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গড়ে উঠবে বৃহৎ ‘মহাকাল মন্দির’।
এ সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, আর শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (SJDA)-এর এক সময়ের চেয়ারম্যান ও অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। একটি প্রেস কনফারেন্স করে তিনি অভিযোগ করেন, “সরকার কখনওই এমন ভাবে শিল্পায়নের জন্য চিহ্নিত জমিতে মন্দির তৈরি করতে পারে না, এটা সাংবিধানিক নয়।” তাঁর দৃঢ় দাবি, এই জমিতে পূর্বে একটি আইটি পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যা এখন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ওই জমির বাজারমূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সেখানে ধর্মীয় স্থাপনার সিদ্ধান্তকে নিন্দনীয় বলে তিনি দেখছেন।
এই মন্দির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে সম্প্রতি ধর্মীয় পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গঠনে গতিময় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বে দিঘায় একটি জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে, নিউ-টাউনে ‘দুর্গা অঙ্গন’ প্রকল্পও ঘোষণা করা হয়েছে। এখন শিলিগুড়িতে ‘মহাকাল মন্দির’ গড়ার সিদ্ধান্ত, উত্তরবঙ্গকে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গঠন করার পরিকল্পনার অংশ বলেই মনে করছে সরকার।