• চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত ওএমআর প্রকাশের নির্দেশ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ফের আদালতের তোপের মুখের স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০২৫ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে ফের একবার হাইকোর্টের নিশানায় পড়তে হল এসএসসিকে। ২০২৫ সালের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত ওএমআর প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ওএমআর আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    পাশাপাশি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণর পর যাঁরা নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তাঁদের তালিকাও তলব করেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে কিনা তাও নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা।

    বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে বিচারপতি সিনহা বলেন, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত ওএমআর অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে ওই ওএমআর আপলোড করার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালের প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও যাঁরা নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকাও কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    উল্লেখ্য, বুধবার এসএসসি সংক্রান্ত সব মামলা কলকাতা হাইকোর্টে শোনার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, নতুন নিয়োগে যাতে কোনও ভাবে অযোগ্য প্রার্থী না থাকে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অযোগ্য প্রার্থীদেরও ক্ষেত্রেও একই কথা বলে আদালত। পাশাপাশি এসএসসিকে ফের অযোগ্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এসএসসির মামলা ওঠে। বিচারপতি এসএসসির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা ওএমআর প্রকাশ করেননি কেন? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা উচিত ছিল। নয়তো পরে ফের অনিয়মের অভিযোগ উঠতে পারে।’

    এদিকে ২০১৬ সালের প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া পরেও অনেকেই নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর নবম-দশমের প্যানেলের মেয়াদ পেরিয়ে যায়। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয় একাদশ-দ্বাদশের প্যানেলের। তার পরে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছিলেন, এ বার তাঁদের নামের তালিকাও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতি বলেন, ‘সেই তালিকায় থাকা কেউ যদি ২০২৫ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে থাকেন, তা হলে তাঁদের ভাগ্য হাই কোর্টে মামলার উপর নির্ভর করবে।’

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আদালতের নির্দেশ নিয়ে বলেন, ‘আমাদের কোনও আপত্তি নেই। প্রায় সাত লক্ষ ওএমআর রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক নথি আপলোডের জন্য প্রযুক্তিগত কিছু সহায়তার প্রয়োজন। তা হলেই ওএমআর আপলোড হয়ে যাবে। আমরাও স্বচ্ছ নিয়োগ চাইছি।‘ এসএসসি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে।

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)