• ‘লাদেন শান্তির পাঠ দিচ্ছে’, রামমন্দিরের ধর্মধ্বজ মন্তব্যে পাকিস্তানকে বিঁধল বিজেপি
    প্রতিদিন | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যায় রামমন্দিরের চূড়ায় মঙ্গলবার ‘ধর্মধ্বজ’ (Ayodhya Ram Mandir Dhwajarohan 2025) উত্তোলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সমালোচনায় সরব হয় পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। বুধবার পালটা দিল নয়াদিল্লি। এরপরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। শুধু পাকিস্তান নয়। তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মত বিরোধীদলকে পাকিস্তানের সঙ্গে একাসনে বসিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

    বিদেশ মন্ত্রকের পর এবার পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করেছে বিজেপি। রাম মন্দিরে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের বিষয়ে পাকিস্তানের মন্তব্যের জন্য তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি। শাসকদল বলেছে প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয় কথা বলা আসলে, ‘ওসামা বিন লাদেনের বিশ্ব শান্তির কথা প্রচার করা।’

    পাল্টা আক্রমণ করে, পাকিস্তানকে আত্মসমালোচনা করার কথা বলেছে বিজেপি। পাশাপাশি, ‘শুধু হিন্দু ও শিখ নয়, এমনকি আগা খানি, শিয়া, বালুচি এবং আহমদিয়াদের’ উপর নির্যাতনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে তাঁরা। বিজেপি নেতা সেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ও আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়।

    এখানেই থামেননি তিনি। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিরোধী দলকেও পাকিস্তানের সঙ্গে একাশনে বসিয়েছেন তিনি। বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করে পুনাওয়ালা বলেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কথার সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতে ইসলামোফোবিয়া এবং হিন্দুত্ব নিয়ে পাকিস্তানের ক্ষোভের।

    মোদির এই ‘ধর্মধ্বজ’ উত্তোলন কর্মসূচির সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে এই ঘটনাকে ‘ইসলামফোবিয়া’ এবং ‘ঐতিহ্যের অপবিত্রতা’ ইত্যাদি বলা হয়। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের সমলোচনা করে ইসলামাবাদ। ইসলামাবাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “আমরা (পাকিস্তানের) মন্তব্যগুলি দেখেছি। তাদের এমন বক্তব্য খণ্ডন করছি। সংখ্যালঘুদের উপর দমন-পীড়ন চালানো ধর্মান্ধ পাকিস্তানের অন্যকে জ্ঞান দেওয়ার নৈতিক অধিকারই নেই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)