• লোকসভা অধিবেশনের আগেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী কর্নাটকে? সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারকে দিল্লিতে তলব খাড়গের
    প্রতিদিন | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকের (Karnataka) নেতৃত্ব সংকট মেটাতে অবশেষে আসরে নামল কংগ্রেস (Congress) শীর্ষনেতৃত্ব। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিবাদমান দুই নেতাকেই দিল্লিতে তলব করলেন। একই সঙ্গে কর্নাটকের আরও জয়েকজন প্রথম সারির নেতাকে তলব করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। শোনা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ডিকে এখন খানিকটা হলেও এগিয়ে।

    সূত্রের খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সম্প্রতি উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার শিবকুমারকে এই ইস্যুতে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী। এদিকে এক কংগ্রেস বিধায়ক দাবি করেছেন, শিবকুমারই যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সে বিষয়ে তিনি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত। দলীয় সূত্রে খবর, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দলীয় বিষয়ে কথা বলার জন্য বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন শিবকুমার। যদিও কোনওভাবে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে খোদ রাহুল গান্ধীর তরফে শিবকুমারের ফোনে আসে ছোট্ট একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। যেখানে লেখা, ‘অপেক্ষা করুন, আমি আপনাকে শীঘ্রই ফোন করছি।’ কর্নাটকের রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে শিবকুমারকে লেখা রাহুলের এই বার্তা নিশ্চিতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা অধিবেশন। তার আগেই কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে চলতে থাকা টানাপোড়েন শেষ করতে চান দিল্লির নেতৃত্ব। তাঁরই আভাস দেওয়া হয়েছে শিবকুমারকে।

    এদিকে নেতৃত্ব নিয়ে ডামাডোলের মধ্যে হাই কম্যান্ডের উপর চাপ বাড়িয়েছেন সিদ্ধারামাইয়াও। তিনি দলের শীর্ষ নেতাদের বলে দিয়েছেন, নেতৃত্ব নিয়ে এই টানাপোড়েনে আসলে ক্ষতি হচ্ছে কংগ্রেসের। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে হাই কম্যান্ডকে। তারপরই আসরে নেমেছেন খাড়গে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দুই নেতার সঙ্গে আলোচনা না করে কোনওভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

    দু’বছর আগে বিপুল জনাদেশ নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয় দুই শিবির। একদিকে প্রবীণ নেতা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। কিন্তু সকলেই একবাক্যে মেনে নেন, কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তারপরও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। শোনা যায়, সেই সময় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত ছিল আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার। সেই আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে বর্তমান কর্নাটক সরকারের। এদিকে সিদ্দারামাইয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি সরতে রাজি নন। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। এর মধ্যে আবার বৃহস্পতিবারই শিবকুমার তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মুখের কথাটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শক্তি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)