সুমন করাতি, হুগলি: কড়ি ফেললেই মিলছে মৃত ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম! ২০০২ সালে যাঁদের তালিকায় নাম রয়েছে এবং বর্তমানে যাঁরা প্রয়াত, তেমন ব্যক্তিদের ফর্ম নাকি দেদার বিক্রি হচ্ছে। আর সেই ফর্ম নিয়েই ভোটার লিস্টে নাম তোলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশিরা বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার মৃত ভোটারের ফর্ম-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিককে।
এই ঘটনা জানতে পারার পরেই নাদিম নামের ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিল মৃত ব্যক্তির আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা হুগলির ডানকুনি পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মাথুরডাঙি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে মৃত্যু হয় মহসিন খান নামের ওই ব্যক্তির। মৃত মহসিনের নামেই এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপ করে জমা দেন বাংলাদেশি যুবক নাদিম। মৃত মহসিন খানের দাদা মইদুল খান জানতে পারেন, মৃত ভাইয়ের ফর্ম পুরণ করে জমা দিয়েছেন বাংলাদেশি যুবক নাদিম। শুধু তাই নয়, সেই ফর্ম গ্রাহ্য করেছে নির্বাচন কমিশন। এর পরই এলাকায় শোরগোল পরে যায়।
অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক নাদিমের দাবি ১৫ বছর ধরে ডানকুনিতে বসবাস করছেন তিনি। চার হাজার টাকার বিনিময়ে এখানে ভোটার কার্ড তৈরি করেন এবং বর্তমানে এসআইআর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া চলার সময় মৃত মহসিনের এনুমারেশন ফর্ম জোগাড় করেন টাকার বিনিময়ে। সেই ফর্ম পুরণ করে নিজের ছবি লাগিয়ে জমাও দিয়েছেন নাদিম।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বুধবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মাথুরডাঙি এলাকায়। বাংলাদেশি যুবক নাদিমকে আটকে রাখেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসে ডানকুনি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে নাদিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কীভাবে অন্য এক মৃত ব্যক্তির ভোটার কার্ড ব্যবহার করে এসআইআর তালিকায় নাম তোলার পরিকল্পনা করে সে এবং এই ঘটনায় কারা জড়িত সেটা জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। নাদিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সব প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে ডানকুনি থানার পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গে ফের বাংলাদেশি যুবকের হদিস মেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।