সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ছাব্বিশের আগে যেখানে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে, সেখানে আরও বেশি ছন্নছাড়া গেরুয়া শিবির। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত সেই ছবিটাই ফের প্রকাশ্যে এল ডায়মন্ড হারবারের সরিষায়। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দলেরই কর্মী, সদস্যদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। কপালে টিকা, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে বিক্ষোভকারীরা সুকান্তর গাড়ি ঘিরে ধরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিলেন। উঠল ‘দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ’ স্লোগানও। বৃহস্পতিবার দুপুরে এনিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সরিষা এলাকা। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা কেউ বিজেপি কর্মী নয়। ঘটনা নিয়ে স্রেফ অপপ্রচার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সরিষায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই দলের কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে। এই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে আসায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক শিবিরের বক্তব্য, বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই বিজেপি কর্মীরাই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তারপর তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। বাংলাকে যেভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অসম্মান করছে, বাংলার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে, দলের একাংশ তা কোনওভাবেই মানতে পারছে না। তাই এই বিক্ষোভ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার দাবি, ”এরা কোনওদিনই বিজেপি কর্মী ছিল না। ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন বিধায়ক দীপক হালদারের হাত ধরে এরা কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগদান করেছে। এরা বিজেপির কোনও কর্মীই নয়।” বিজেপি নেতা দীপক হালদার জানিয়েছেন, বিজেপির মধ্যে যারা তাঁর নামে এভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারা আদতে বিজেপির নেতা বা কর্মী কিনা তা জানতে হবে। তিনি বা তার অনুগামী কোন কর্মী দলের নেতাকে এভাবে বিক্ষোভ দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলতে পারেন না। নিজেদের স্বার্থেই তাঁর নামে এভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলেই পরিচয় দেন। ‘দিলীপ ঘোষ জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুলে নিজেদের দলের পুরনো কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা যখন অত্যাচারিত হয়েছিলেন, জেল খেটেছিলেন, তখন বিজেপির কোনও নেতাই তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াননি।