উলুবেড়িয়ার পর বাঁকুড়া, বাস-পুলকার সংঘর্ষে অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা খুদে পডুয়াদের
প্রতিদিন | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: উলুবেড়িয়ায় পুলকার দুর্ঘটনায় ৪ খুদে পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুর ক্ষত এখনও দগদগে। তারই মধ্যে বাঁকুড়ায় (Bankura) খুদে পড়ুয়াবোঝাই পুলকার দুর্ঘটনার মুখে পড়ল। যাত্রীবোঝাই বাসের সঙ্গে পুলকারের মুখোমুখি ধাক্কার দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পথচারীরাই। যদিও অল্পের জন্য বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। এতে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ালেও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়। এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে খুদে পড়ুয়ারা প্রবল আতঙ্কিত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকুড়া (Bankura) শহরের তামিলিবাঁধ এলাকায় অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল ছাত্রবোঝাই পুলকার। হঠাৎই একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে পুলকারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ধাক্কা এতটাই প্রবল ছিল যে মুহূর্তের জন্য চারপাশে আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে যান পথচারীরা। তবে কেউ হতাহতের খবর নেই বলে নিশ্চিত করেন বাঁকুড়া ট্রাফিক পুলিশের আইসি গৌতম সেন। তাঁর কথায়, “পুলকারে প্রায় দশজন ছাত্রছাত্রী ছিল। তারা সকলে সম্পূর্ণ নিরাপদ। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও পুলকারটিকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।”
তামিলিবাঁধের ওষুধের দোকানি প্রশান্ত বক্সি বলেন, “একেবারে চোখের সামনে দুর্ঘটনাটা ঘটে। পুলকার আর বাসের ধাক্কাটা লাগে। ভেবেছিলাম বড় কিছু হয়ে গেল বোধহয়। বাচ্চাগুলো নেমে কাঁদছিলস, আমরাও হকচকিয়ে গিয়েছিলাম।” আরেক পথচারী, কলেজছাত্রী ঐশী মজুমদারের কথায়, “ধাক্কার শব্দে সবাই দৌড়ে যায়। পুলকারটা একটু এদিক-ওদিক হলে ভয়ংকর কিছু হতে পারত। এত বাচ্চা নিয়ে এমন গতিতে কেন গাড়ি চালানো হয়, বুঝতে পারি না।” স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, এই এলাকায় বড় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্কুল সময়ে নজরদারি বাড়ানো জরুরি।