• টিমে এল নতুন সদস্য, সদ্যোজাতকে নিয়েই লালগড়ের জঙ্গলে ঘুরছে হাতির দল
    এই সময় | ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • নভেম্বরের সকালে কুয়াশার চাদর ঠেলে রোদের ঝিকিমিকি শাল-মহুলের লালগড় জঙ্গলে। সেখানেই দেখা গেল একদল হাতি ঘিরে রয়েছে ছোট্ট একটি হস্তিশাবককে। কিছুক্ষণ সেখানেই ছিল তারা। তার পরে গুটি গুটি পায়ে হেলতে দুলতে ঢুকে পড়ল জঙ্গলের ভিতরে। পরে জানা গেল, ওই জঙ্গলেই শাবক প্রসব করেছে হস্তিনী। বৃহস্পতিবার ভোরে মেদিনীপুর বন বিভাগের লালগড় রেঞ্জের ভাউদি বিটের জঙ্গলে হস্তিশাবকের জন্মের খবর ছড়াতেই এলাকার লোকজন ভিড় জমান। কেউ কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করতেও। বাধ্য হয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা মাইকিং করতে থাকেন, কেউ যেন ওদের বিরক্ত না করে। ভুলেও যেন জঙ্গলে না ঢোকেন কেউ।

    বনদপ্তর সূত্রে খবর, ৫০ থেকে ৬০টি হাতির একটি দল বুধবার রাতে চাঁদড়া রেঞ্জের দিক থেকে লালগড় রেঞ্জের ভাউদির জঙ্গলে ঢোকে। আপাতত দুই দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে তারা। সদ্যোজাতকে নিয়ে ১৫টি হাতির একটি দল রয়েছে করমশোলের জঙ্গলে। দলে শাবক থাকায় সেই হাতিরা বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে রয়েছে। ফলে কোনও ভাবেই এখন হাতির দলকে অন্যত্র খেদানোর অভিযান চালাতে পারবে না বনদপ্তর।

    তাই এখন যে সব মাঠের উপর দিয়ে হাতির দল যাবে, ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনাও থাকবে। তবে লোকালয়ে ঢুকে যাতে কোনও ক্ষতি না করতে পারে, সে দিকে নজর রেখেছে বনদপ্তর। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছেন বনকর্মীরা। মানুষজন যাতে কাঠ, পাতা সংগ্রহ করতে জঙ্গলে না যান, সতর্ক করা হয়েছে।

    গত কয়েক বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের দলমা ও ওডিশা রাজ্যের সিমলিপাল ,ময়ূরভঞ্জ এলাকা থেকে হাতি ঢুকে পড়ছে ঝাড়গ্রাম জেলায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পাওয়ায়, এলাকা ছাড়তে চাইছে না। মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, খড়্গপুর ও রূপনারায়ণ বন বিভাগের মধ্যেই ঘুরে বেড়ায় তারা।

    লালগড়ের রেঞ্জার সৈকত বিশ্বাস জানান, লালগড়ের দলটিকে মনিটরিং করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে জঙ্গলে না যান, তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)