• বহুবিবাহের বিরুদ্ধে অসম বিধানসভায় বিল পাশ! ‘ইসলাম বিরুদ্ধ নয়’, দাবি হিমন্তের
    প্রতিদিন | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল নতুন বিল। আইন আনা হল বহুবিবাহের বিরুদ্ধে। নিয়ম ভাঙলেই সাত বছরের জেল। পাশাপাশি দ্বিতীয় বিয়ের সময় প্রথম বিয়ের খবর লুকালে দশ বছরের শাস্তি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিধানসভায় বলেন এই বিল ‘ইসলাম বিরোধী নয়’। 

    জানা গিয়েছে, বহুবিবাহ করলে অভিযুক্তের সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। পরবর্তী বিয়ের সময় বর্তমান স্বামী অথবা স্ত্রীর বিষয়টি গোপন করলে দশ বছর পর্যন্ত কঠোর শাস্তি হবে বলে জানানো হয়েছে। অসম বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিল, ২০২৫ পাশ হয়েছে বৃহস্পতিবার।

    ওই বিলে বহুগামীতাকে ‘অপরাধ’ বলা হয়েছে। বিধানসভায় বিলটি পাস হওয়ার আগে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিধানসভায় বলেন এই বিল ‘ইসলাম বিরোধী নয়’ এবং যে কোনও ‘সত্যিকারের ইসলাম পালনকারী মানুষ একে স্বাগত জানাবে।’ শর্মা বলেন, ‘ইসলাম বহুবিবাহকে উৎসাহিত করতে পারে না। যদি এই বিলটি পাস হয়, তাহলে আপনি একজন প্রকৃত মুসলিম হওয়ার সুযোগ পাবেন। এই বিলটি ইসলামের বিরুদ্ধে নয়। প্রকৃত মুসলিম মানুষ এই আইনকে স্বাগত জানাবেন। তুরস্কের মতো দেশগুলিও বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করেছে; পাকিস্তানে একটি আর্বিট্রেশন কাউন্সিল রয়েছে।’

    জানা গিয়েছে, কারাদণ্ডের পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানাও হতে পারে। গোটা বিবাহপ্রক্রিয়ায় জড়িত কাজি বা পুরোহিত, গ্রামপ্রধান, মা-বাবা বা আইনি অভিভাবক-সহ বিয়েততে উৎসাহ জোগানো সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ‘অসম বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিল, ২০২৫’-এ ভুক্তভোগী মহিলাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বহুবিবাহে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি রাজ্য সরকারের কোনও চাকরি পাবেন না। সরকারি কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। পঞ্চায়েত, পুরসভা ইত্যাদির কোনও নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি। এখানেই শেষ নয়, কেউ যদি বার বার একই অপরাধ করেন, তা হলে প্রতিটি অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তির দ্বিগুণ দণ্ড দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার, এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়ে বিধানসভা কক্ষ থেকে ‘ওয়াকআউট’ করেন কংগ্রেস, সিপিআই (এম) এবং রাইজোর দল। প্রস্তাবিত বিলটি ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এলাকা ছাড়া বাকি রাজ্যে প্রযোজ্য হবে। তবে সংবিধানের ৩৪২ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত তফসিলি জাতি ও জনজাতির সদস্যদের এই বিলের আওতায় আনা হবে না।
  • Link to this news (প্রতিদিন)