সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের পর উঠে এসেছে কাশ্মীর যোগের বিষয়টি। আর এবার উপত্যকায় নিষিদ্ধ জামাত-ই-ইসলামির সদস্যদের ধরতে দিনভর চলল তল্লাশি। শ্রীনগর, অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, সোপিয়ান, কুলগাম, বদগাম, কুপওয়াড়ার পাশাপাশি শ্রীনগরের মাদ্রাসা ও মসজিদেও তল্লাশি চালাল পুলিশ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বহু বাড়ি ও জামাত সদস্যের সঙ্গে জড়িত এলাকায় তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বাড়ি থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, নথি ও কাগজপত্র ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। সমস্ত বাজেয়াপ্ত নথিকে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এদিকে জামিয়াত-উল-বানাত, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়, রাহত মঞ্জিল. আল-কয়সার বুক শপের মতো বহু জায়গাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এদিকে জঙ্গি সন্দেহে জম্মু থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি রিয়াসির বাসিন্দা। তবে বর্তমানে বাথিন্দি এলাকায় বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। ধৃতের সম্পূর্ণ পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ভূস্বর্গে কি তাহলে ফের কোনও নাশকতার ছক করছে সন্ত্রাসবাদীরা? এই প্রশ্নটিই ক্রমে জোরালো হচ্ছে গ্রেপ্তারি ও তল্লাশির পরে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। তারপর থেকেই উপত্যকায় আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চলছে জঙ্গিদমন অভিযানও। কিন্তু দিল্লি বিস্ফোরণের পর তৎপরতা আরও বেড়েছে। আর তারই ফলশ্রুতি এদিনের তল্লাশি।