নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দিল্লি তথা সংলগ্ন এনসিআর এলাকায় দূষণ পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে! এমন দাবি খোদ সরকারের। শুধু তাই নয়, দূষণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ একধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ দেশের সেই রাজধানী শহরেই ধুলোর মোকাবিলায় নতুন করে নির্দেশিকা জারি করতে হচ্ছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটিকে (ডিপিসিসি)। তাহলে কি দিল্লির বিজেপি সরকারের নিজের দপ্তরগুলির মধ্যেই সমন্বয়ের অভাব প্রকট হচ্ছে? নাকি বিতর্ক ধামাচাপা দিতে দূষণ সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য গোপন করছে গেরুয়া শিবির? আপাতত এই দুই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে চর্চা চরমে উঠেছে।
বর্তমান দূষণ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দিল্লিতে ধুলোর মোকাবিলায় ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি। সেখানে বলা হয়েছে, রাস্তা সারাই বা নির্মাণকাজে ধুলো যাতে না ওড়ে, সেই লক্ষ্যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জায়গাটি ঢেকে রাখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। যেসব ট্রাকে নির্মাণ সামগ্রী আসবে, তাও সম্পূর্ণ ঢেকে রাখতে হবে। যে ট্রাকগুলিতে অবশিষ্টাংশ যাবে, সেগুলিতেও একই পদক্ষেপ করতে হবে। এক কণা ধুলোও যাতে বাইরে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকেই।
দিল্লির বিজেপি সরকার দূষণ পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার দাবি করলেও কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় দিল্লির আনন্দবিহার এলাকায় একিউআই ছিল ৪১৫। অর্থাৎ, বিপজ্জনক। ওই একই সময়ে আইটিও, আর কে পুরম, পটপরগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে একিউআই ছিল ৪০০-এর কাছাকাছি (অত্যন্ত খারাপ থেকে বিপজ্জনক)। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ সার্বিকভাবে দিল্লির গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৭৭। অর্থাৎ, অত্যন্ত খারাপ। সরকার দাবি করলেও দিল্লি শহরের দূষণ পরিস্থিতির উন্নতির কোনও ছবি অন্তত সরকারি পরিসংখ্যানে ধরা পড়েনি।