• পুলিশের চাকরি দেওয়ার টোপ: ২১ লক্ষ টাকা সহ ধৃত সিভিকের সহযোগী
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: টাকার টোপ দিয়ে পুলিশের কনস্টেবলের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সস্ত্রীক সিভিককে জেরা করে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সিভিকের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুভাষ বিশ্বাস। তার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার কার্গিল মোড় সংলগ্ন যাদববাটিতে। তার কাছ থেকে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা, একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর থেকে ওই টাকা তোলা হয়েছিল। বুধবারই এক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে সস্ত্রীক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে সুভাষের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এরপরেই বিপুল পরিমাণ টাকা সহ সুভাষকে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার বিষয়টি সামনে আসতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, জেলায় একটি বড় চক্র কাজ করছে। তাদের ফাঁদে অনেকে প঩ড়েছে। এই চক্রের মূল পান্ডার খোঁজে অনেক জায়গাতেই তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

    দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, এই মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ২০ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭০০ টাকা, বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আগামী রবিবার পুলিশের কনস্টেবলের পরীক্ষা। তার আগে ধৃত সিভিক ও তার স্ত্রী টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেখায় বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে। সেই ফাঁদে পড়ে যান গঙ্গারামপুর থানার ইন্দ্রনারায়ণপুরের এক যুবতী। তাঁর কাছে নয় লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলেও নিজের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট, মার্কশিট সহ অন্য নথি জমা দেন ওই সিভিকের কাছে। পরে ফাঁদে পড়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে যুবতী আসল নথি ফেরত চাইলে সিভিক দিতে পারেনি। সিভিক জানায়, সেই নথি অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবতী। গ্রেফতার হয় সিভিক নারায়ণ ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী পার্বতী রায়। সিভিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সুভাষের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা।    

    পুলিশের অনুমান, সিভিকের সহযোগী সুভাষও চাকরির টোপ দিয়ে বিভিন্ন নথি এবং টাকা আদায় শুরু করেছিল। উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ ও মোবাইলগুলি  প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হতো। তার কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছে। ওই যুবতীর অভিযোগের তালিকায় আরও দু’জন রয়েছে। তাদের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)