৬০টি হাতির দলকে ছোট জঙ্গল থেকে নিয়ে যাওয়া হল বড় জঙ্গলে
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: ধানের মরশুম শেষ হতেই হাতির দলকে ছোট জঙ্গল থেকে বড় জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিল কার্শিয়াং বনবিভাগ। করিডরে হাতি দেখতে দাঁড়ালেন সাংসদ ও বিধায়ক। মানুষ ও হাতির সংঘাত এড়াতে রাজ্য সরকারকে বনদপ্তরের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আর্জি সাংসদের। বৃহস্পতিবার নকশালবাড়ির টুকরিয়াঝার বনাঞ্চল থেকে বাগডোগরা বনাঞ্চলে প্রায় ৬০টি হাতির দল তাড়াতে বিশেষ অভিযানে নামে বনদপ্তর। তাতে কার্শিয়াং ডিভিশনের টুকরিয়াঝার, বাগডোগরা, ঘোষপুকুর, পানিঘাটা ও এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের বনকর্মীরা অংশ নেয়।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২টা থেকে টুকরিয়াঝার বনাঞ্চলে এই অভিযান শুরু হয়। দপ্তরের প্রায় ১০০ জনকে দিয়ে প্রায় ৬০টি হাতির দল বাগডোগরা নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ১১ কিমি পথে একাধিক চা বাগান, নদী, রাস্তা ও রেলপথ অতিক্রম করিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ হাতির দলটিকে বাগডোগরা বনাঞ্চলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে হাতির দলটি দেখতে একাধিক জায়গায় মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। যদিও বনকর্মীরা হাতির করিডরের একাধিক পয়ন্টে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন ছিলেন। দৌড়ঝাঁপের মধ্যে দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে হাতির দলটিকে জঙ্গলে ঢুকাতে সাফাল্য পায় বনদপ্তর। বনকর্মীদের এই কাজে সাহায্যের হাত বারিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। রেলদপ্তরও তৎপরতা দেখিয়েছে। কিরণচন্দ্র চা বাগান সংলগ্ন রেলপথে রেলের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ওই এলাকার ২ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে হাতি দেখতে রাস্তার এপার ওপারে কয়েকশো মানুষ জমায়েত হয়। খড়িবাড়ির একটি কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে কিরণচন্দ্রে হাতি দেখতে দাঁড়িয়ে পড়েন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ও মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন।
সাংসদের কথায়, জঙ্গলে হাতির পর্যাপ্ত খাবার নেই। এজন্য হাতি খাবারের সন্ধানে শহর ও গ্রামমুখী হচ্ছে। জঙ্গলে হাতির জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা নিতে হবে বনদপ্তরকে। এছাড়া মানুষ ও হাতির সংঘাত এড়াতে রাজ্য সরকারকে বনদপ্তরের প্রতি নজর দিতে হবে। কিরণচন্দ্র চা বাগান সংলগ্ন ২ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে হাতির পারাপারের ছবি তুলতে ব্যস্ত বনকর্মীরা।-নিজস্ব চিত্র